ইউপি নির্বাচন: চতুর্থ ধাপেও সুনামগঞ্জে আ’লীগের ভরাডুবি
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ৩:৫৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সুনামগঞ্জের ২১ ইউনিয়নের দুইটিতে জামানত হারিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা। নয়টিতে তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে ছিলেন দলীয় প্রার্থীরা। দলের নেতারাই বলছেন, প্রার্থী মনোনয়নে ভুল হওয়ায় তৃণমূলে দলের প্রতীকের অসম্মান হয়েছে। নৌকার ভরাডুবি ঘটেছে। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, দিরাই ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ২১ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন রোববার অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত সাত, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ছয়, স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপি তিন, জাতীয় পার্টি এক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে আ.লীগ মনোনীত দুই প্রার্থী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের হেলাল উদ্দিন (প্রাপ্ত ভোট ৭৯৫) ও দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের মাহমুদ হাসান চৌধুরী (প্রাপ্ত ভোট ১২৭১) জামানত হারিয়েছেন। অথচ এই দুই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক হিসাবেই পরিচিত।
এছাড়া বিশ্বম্ভরপুরের পলাশ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নুরুল আলম তৃতীয় অবস্থানে, বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নে সংগঠনের মনোনীত প্রার্থী জামাল হোসেন চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সুন্দর উদ্দিন এবং চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নে আব্দুল গফুর তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন।
দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রঞ্জিত রায় পঞ্চম, রাজানগরে শফিকুল হক তালুকদার চতুর্থ, কুলঞ্জ ইউনিয়নে মিলন মিয়া চতুর্থ এবং তাড়ল ইউনিয়নে মো. আহমদ চৌধুরী তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুর্গে দলীয় প্রার্থীদের এমন শোচনীয় পরাজয় মেনে নেওয়ার মতো নয়। এর দায় জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এড়িয়ে যেতে পারেন না। তাদের কারণেই তৃণমূলে দলীয় প্রতীকের অসম্মান হয়েছে। দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে তারা জনপ্রিয়দের নাম উপযুক্তভাবে দিতে পারেনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এনামুল কবির ইমন বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনে পরিবার, গোষ্ঠী, অঞ্চলপ্রীতি কাজ করে। জেলা কমিটির পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডে পাঠানো তালিকায় পর্যায়ক্রমিকভাবে যাদের নাম এক বা দুই নম্বরে ছিল তারাও মনোনয়ন পেয়েছেন, আবার কোথাও কোথাও ছয় বা সাত নম্বরে যাদের নাম ছিল, তারাও মনোনয়ন পেয়েছেন, এই জন্য কোথাও কোথাও দলীয় মনোনীত প্রার্থীর জয় পাওয়া যায়নি’।