ভোটে হারলেন শাল্লায় হামলার প্রধান আসামি সেই স্বাধীন মেম্বার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১:০৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
চলতি বছরের ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ধর্মীয় অবমাননা ও হেজাফত নেতা মামুনুক হককে নিয়ে কটুক্তির দায়ে সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাও গ্রামে হামলার ঘটনার প্রধান আসামি শহীদুল ইসলাম স্বাধীন ওরফে স্বাধীন মেম্বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হেরেছেন।
রোববার সুনামগঞ্জের তিনটি উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে চলা নির্বাচনে দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য পদে ২৭৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দিরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফয়েজুর রহমান জানান, সরমঙ্গল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেখানে সর্বোচ্চ ৩৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মোরগ প্রতীক নিয়ে আব্দুছ ছামাদ। যথাক্রমে আমির হোসেন তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬৪ ভোট, শহীদুল ইসলাম স্বাধীন টিউভওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭৫ ভোট, আফাজ উদ্দিন ভ্যানগাড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪৬ ভোট, সাহেদ আলী ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩৪ ভোট এবং সিরাজ আলী ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৩ ভোট।
হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে এক যুবকের স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে মিছিল করে হামলা চালায় হাজারের বেশি মানুষ।
গ্রামের হিন্দুদের অন্তত ৯০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। ভাঙচুর করা হয় মন্দিরও। এ ঘটনার পর হামলাকারীদের ‘মদদদাতা’ হিসেবে স্বাধীন মেম্বারের নাম আসে। স্বাধীন নোয়াগাঁওয়ের পাশে নাচনি গ্রামের বাসিন্দা। নাচনি গ্রামের অবস্থান দিরাই উপলোর সরমঙ্গল ইউনিয়নে।
হামলার পরদিন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের করা মামলায় স্বাধীনকে প্রধান আসামি করা হয়। পুলিশের করা মামলায়ও আসামি স্বাধীন।
এই হামলার পরই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান স্বাধীন। দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে গত ১৯ মার্চ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরপর ২১ জুন আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পান তিনি।