কমলগঞ্জে আদালতের দারোগার বিরুদ্ধে কৃষকের জমি দখল ও ধান লুটে নেয়ার অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ৬:০৫ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মণিপুরি পল্লী তিলকপুর গ্রাম থেকে জমির কাটা ধান লুটে নিয়েছেন মণিপুরি স¤প্রদায়ের একজন আদালতের এসআই। এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ধানি জমির মালিক।
অভিযোগের পর কমলগঞ্জ থানায় উভয় পক্ষের দুই দফা বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি। গত ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে তিলকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটলে পরদিন ১৮ডিসেম্বর শনিবার জমির মালিক রঞ্জিত কুমার সিংহ কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
কমলগঞ্জ থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রামে সরেজমিনে গেলে রঞ্জিত কুমার সিংহের বর্গা চাষী যোগিন্দ্র শব্দকর ও জিতেন শব্দকর জানান, তারা রঞ্জিত কুমার সিংহের জমির বর্গা চাষী হিসেবে ধান চাষাবাদ করেন। স¤প্রতি তারা জমির ধান কেটে জমিতে জমিয়ে রাখলে গত ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে কেটে রাখা প্রায় ১২ মন ধান নিয়ে যান একই গ্রামের বাসিন্দা মৌলভীবাজার আদালতের এসআই পবিত্র কুমার সিংহ। এ ঘটনার পর তারা জমির মালিক রঞ্জিত কুমার সিংহকে অবহিত করেন ।
তিলকপুর গ্রামের গৃহবধূ অঞ্জনা সিনহা বলেন, এসআই পবিত্র কুমার সিংহ তার শ^শুড়ের এক খন্ড জমিও দখল করে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তার স্বর্গীয় শ^শুরের সাথে আর্থিক লেনদেনের কারণে এখন এসআই পবিত্র কুমার সিংহ জমি জবর দখল করে নিলেন। স্থানীয় আরেক গৃহবধু স্বশী রানী সিনহা বলেন, এসআই পবিত্র কুমার সিংহ সবাইকে হুমকি ধামকী দিয়ে চলেন, কেউ কিছু বলতে গেলেই মামলার হুমকি দেন।
জমির মালিক রঞ্জিত কুমার সিংহ বলেন, তার বর্গা চাষীর কাটা ধান নেওয়ার পরদিন তিনি কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করলে থানা থেকে এসআই মহাদেব বাচাড়ের নেতৃতেব পুলিশের একটি দল সরেজমিন ঘুরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সামাজিক বৈঠকে এ সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেন। পরপর দুই দিন কমলগঞ্জ থানার সামনে এ নিয়ে সমাজিক বৈঠক হলেও অভিযুক্ত পুলিশের এসআই পবিত্র কুমার সিংহের অসহযোগিতার কারণে আর সমাধান হয়নি।
অভিযুক্ত আদালতের এসআই পবিত্র কুমার সিংহ শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) মোবাইলে এ প্রতিনিধিকে বলেন, এ জমির মালিক তিনি। তাই তিনি তার জমির ধান কেটে নিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার এসআই মহাদেব বাচাড় বলেন, জমির কাট ধান লুটে নেওয়ার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগের পর সরেজমিন তদন্তের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ নিয়ে পরপর দুই দিন সামাজিক বৈঠক হয়েছিল। তবে কোন সমাধান হয়নি।