মায়ের কথা রাখেননি নৌকার প্রার্থী!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:১৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম। তিনি তার মায়ের কথা রাখেননি। এজন্য তার সহোদর ভাই টাঙ্গাইল সদর থানা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. কামাল হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আপন দুই ভাই ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ায় বিষয়টি শুধু ওই ইউনিয়ন নয়। পুরো টাঙ্গাইল জুড়েই আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। দলের কিছু নেতাকর্মী বর্তমান চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলামের দিকে আবার কিছু কিছু নেতাকর্মী তার ভাইসহ অন্য বিদ্রোহীদের পক্ষে কাজ করছেন। তবে তাদের পরিবারের সদস্যসহ আত্মীয় স্বজনরাও বিভক্ত হয়ে গেছে দুই ভাইয়ের দিকে।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন সহোদর ভাই মো. কামাল হোসেন। আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আজহারুলকে পরিবারের লোকজন বাসা থেকে বের করে দিয়েছে।
আজহারুল ইসলাম এই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাকে এবার মোকাবেলা করতে হচ্ছে তার আপন ভাইসহ দলের তিন বিদ্রোহী প্রার্থীকে।
মগড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম ছাড়াও তার ছোট ভাই মো. কামাল হোসাইন (চশমা প্রতীক)। তিনি সদর থানা আওয়ামী লীগের সদস্য। এছাড়াও অপর দুই বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোতালিব হোসেন (আনারস প্রতীক) ও সদর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম বুলবুল (মোটর সাইকেল প্রতীক)। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তিন তিনজনকেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জাতীয় পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আব্দুল বাছেদ মণ্ডল।
বড় ভাই আজহারুল ইসলাম মনে করেন ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়ে তাদের সম্পর্কের অবনতি হবে না। তিনি জানান, পরপর দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এলাকার মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তাই এলাকার মানুষ ও দল তাকেই চেয়েছে। এজন্যই প্রার্থী হয়েছেন। ভাইকে তিনি ভাইয়ের চোখেই দেখেন।
ছোট ভাই কামাল হোসাইন বলেন, গত নির্বাচনের সময় বড় ভাই তাকে তার মায়ের সামনে কথা দিয়েছিলেন এবার চেয়ারম্যান পদে তিনি প্রার্থী না হয়ে আমাকে প্রার্থী করবেন। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি। মাসহ অপর ছয় ভাই এবং বেশিরভাগ আত্মীয়স্বজনের তার প্রতি সমর্থন রয়েছে বলে জানান।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বলেন, চতুর্থ ধাপে টাঙ্গাইলের তিন উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ৯৭ জন। সাধারণ সদস্য প্রার্থী ৬৮৫ জন ও সংরক্ষিত প্রার্থী ২৩২ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৬ হাজার ১৮৭ জন। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে আশাবাদী।