যেভাবে আগুন লাগে সেই লঞ্চে, জানাল কেবিন বয়
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ৩:০২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭২ জন। তাদের বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রায় চারশ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়। চাঁদপুর ও বরিশাল টার্মিনাল লঞ্চটি থামে এবং যাত্রী উঠা-নামা করে। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পৌঁছলে রাত ৩টার দিকে এতে আগুন ধরে যায়।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানাতে পারেনি পুলিশ।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী লঞ্চের কেবিন বয় ইয়াসিন (১৯) গণমাধ্যমকে বলেছে, লঞ্চের নিচতলার পেছনে ইঞ্জিনরুমের পাশেই ক্যানটিন। সেখানে বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে লঞ্চে আগুন ধরে যায় এবং তা দ্রুত ইঞ্জিনরুমে ছড়িয়ে পড়ে।
‘সেখানে রাখা ১৩ ব্যারেল ডিজেল আগুন বাড়িয়ে দেয়। ইঞ্জিনরুম থেকে আগুন চলে যায় ডেকের দিকে।’
ইয়াসিন আরও জানায়, ডেকের জানালার পর্দায় লেগে তা দোতলায় ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে প্রথমে পারটেক্স বোর্ডের সিলিংয়ে আগুন লাগে। দোতলায় একটা চায়ের দোকান ছিল। ওই দোকানের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে আগুন আরও তীব্র হয়। এভাবে পুরো লঞ্চটি আগুনে পুড়ে যায়।
অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হাম জালাল গণমাধ্যমকে বলেন, লঞ্চের কেরানি আনোয়ার ভোর রাত ৩টার ৫মিনিটে তাকে ফোন করে আগুন লাগার খবর দেন।
‘সে বলেছে দোতলায় একটা বিস্ফোরণ হয়, সঙ্গে সঙ্গে কেবিনে আর লঞ্চের পেছনের বিভিন্ন অংশে আগুন দেখা যায়। তারপর তৃতীয় তলার কেবিন ও নিচতলায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন।
হাম জালাল বলছেন, ওই লঞ্চে অন্তত ২১টি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ছিল, কিন্তু এত দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে যে সময় পাওয়া পায়নি।
‘একটি পাইপ গেছে ইঞ্জিন থেকে, সেখানে প্রথম বিস্ফোরণ হয় বলে আনোয়ার আমাকে জানিয়েছে’, বলেন লঞ্চের মালিক হাম জালাল।
বিআইডব্লিউটিএ এর উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।