ভারতের ত্রিপুরায় কারাভোগের পর দেশে ফেরার অপেক্ষায় ১০ বাংলাদেশি
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১:৪৩ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার কৈলাশহর কারাগারে কারাভোগ করেন বাংলাদেশের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার ১০ বাংলাদেশী। বর্তমানে তাদেরকে এখন কৈলাশহর স্যাটেলার হোমে রাখা হয়েছে। ত্রিপুরার কৈলাশহরে কারাভোগের পর দেশের ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
ভারতের দৈনিক উত্তর ত্রিপুরা পত্রিকা ও কৈলাশহর থানা সূত্রে জানা যায়, কারাভোগের পর বাংলাদেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন হবিগঞ্জ জেলার নবিগঞ্জ উপজেলার শঙ্করপুর ইউনিয়নের নিত্য নন্দ সরকারের স্ত্রী ফুলমতি বিশ্বাস ওরফে লালমতি রানী সরকার (৬২), একই উপজেলার শঙ্করপুর ইউনিয়নের নিবারসা সরকারের বোন খেলা নমশুদ্র ওরফে খেলা রানী সরকার (৬০), একই উপজেলা ও একই উনিয়নের শ্রী হরেন্দ্র সরকারের বোন দীপা পুরকায়স্থ ওরফে জনতা রানী সরকার (৩০)।
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার জয়পাশা এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে ইসমানন্দর আলী ওরফে মন্তাজ আলী (৩৮), মৌলভীবাজার জেলার কাগাবলা ইউনিয়নের জমাত মিয়ার ছেলে রাজন মিয়া ও সাহান আলী. একই ইউনিয়নের আবরুস আলীর ছেলে আহমেদ আলী, আব্দুল মতলিবের ছেলে নান্টু মিয়া, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ডবলছড়া চা বাগানের শ্রী কালীচরণ মাদ্রাজীর ছেলে রাজু মাদ্রাজী ও একই এলাকার গোপাল সাওতালের ছেলে শ্রী রানা সাওতাল।
কৈলাশহর থেকে প্রকাশিত দৈনিক উত্তর ত্রিপুরা পত্রিকার সম্পাদক মোহিত পাল জানান, এই দশ বাংলাদেশী কারাভোগের পর তাদেরকে নিরাপত্তার জন্য স্যাটেলার হোমে রাখা হয়েছে। তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে ফেরৎ পাঠাতে আগরতলাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলার অফিস মাধ্যমে মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাংসদ উপাধ্যক্ষ ড. এম এ শহীদকে অবহিত করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গস্থ বিজিবি ৪৬ ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার ল্যা. কর্ণেল মিজানুর রহমান বলেন, অফিসিয়ালী কোন চিঠি পাওয়া যায়নি। অফিসিয়ালী তথ্যে পেলে দুই দেশের আন্ত রাষ্ট্রীয় সংশ্লিষ্ট বিভাগের আলোচনাক্রমে আনুষ্ঠানিকভাবে চাতলাপুর চেকপোষ্ট দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে।