সিলেটে হাইটেক পার্ক ঘিরে নতুন সম্ভাবনা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ৪:৩৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক ঘিরে নতুন দিনের সম্ভাবনা দেখছেন সিলেটের মানুষ। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্নি এলাকায় গড়ে উঠেছে সিলেটবাসীর স্বপ্নের হাইটেক পার্ক। পূরণ হতে চলেছে জেলার মানুষের স্বপ্ন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে সিলেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক নির্মাণকাজ শুরু হয়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্নিতে ১৬৩ একর জায়গায় গড়ে তোলা হয় পার্কটি। ইতিমধ্যে পার্কটির ৯০ শতাংশ কাজ শেষ। এ মাসেই শেষ হচ্ছে পার্ক তৈরির কাজ।
গতকাল ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে হাইটেক পার্কে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি অঙ্গন’ এবং আইটি বিজনেস সেন্টার ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া, ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) মুসা নাসের চৌধুরী, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম, উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ আলম, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি কে এম নজরুল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান রাসেল, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা ই-সার্ভিস কর্মকর্তা মো. নাঈম হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, হাইটেক পার্কে ঢুকতেই চোখে পড়বে আরসিসি ব্রিজ। ব্রিজটির মাঝে সুউচ্চ পাইলন এবং পাইলনের ওপরে দুটি এরিয়েশন লাইট যেন অতিথিদের অভিবাদন জানায়। এরপর রয়েছে নৌকাসদৃশ প্রবেশদ্বার। বিশেষ করে রাতে আলোকোজ্জ্বল পাইলন এবং প্রবেশদ্বার যেন সৌন্দর্যের পসরা মেলে ধরে। পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি অঙ্গন। সিলেটের গর্ব হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা এই প্রবেশদ্বার আর পার্কের সৌন্দর্য উপভোগে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামীম আহমদ বলেন, পিছিয়ে পড়া কোম্পানীগঞ্জকে এগিয়ে নিতে হাইটেক পার্ক ভূমিকা রাখবে। এটি এখন বাস্তবে রূপ পাচ্ছে। এর ফলে খুলে যাচ্ছে কর্মসংস্থানের দুয়ার।
বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের প্রকল্প প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কটি বাজেটের মধ্যেই নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটিতে বাজেট ধরা হয়েছে ৩৩৩ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি, এ মাসের মধ্যেই সব কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।’
প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া বলেন, হাইটেক পার্কের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এখানে সফটওয়্যার, ইলেকট্রনিকস পণ্য ও যন্ত্রাংশ তৈরি হবে। এখানে যে কেউ বিনিয়োগ করতে পারবেন। ইতিমধ্যে অনেকেই এখানে বিনিয়োগ শুরু করেছেন।