‘তাবিজের প্রভাবে’ নিজ মেয়েকে ধর্ষণ করেন বাবা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:৩৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আলীনগর গ্রামে কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বাবা।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে ১৬৪ ধারায় পিতা আব্দুর খালেক নিজের মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। আদালত তার জবানবন্দী রেকর্ড করে সন্ধ্যায় আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সেপক্টর (তদন্ত) চম্পক দাম আসামীর বরাত দিয়ে জানান, ওই কিশোরীর মায়ের সাথে খালেকের পারিবারিক মনোমালিন্য দেখা দিলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। এতে অভিমান করে কিশোরীর মা বাবার বাড়ি চলে যান। এ ঘটনায় আসামী খালেক তার স্ত্রীকে ফিরে পেতে কতিপয় হুজুরের কাছ থেকে তাবিজ করেন। আসামির দাবি তাবিজের প্রভাব পড়ে তার উপর, এতে তার মাথা নষ্ট হয়ে গিয়ে সে (পিতা) সহ তার বন্ধু কাদির মিলে বাড়িতে একা পেয়ে একাধিকবার নিজ কিশোরী মেয়েকে দুজন মিলে ধর্ষণ করে।
এরআগে দুপুরে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে অভিযুক্ত পিতাকে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির করে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। এ মামলায় অপর আসামি পিতার বন্ধু আব্দুল কাদিরকে দুপুরেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামে গত ১ ডিসেম্বর ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে পিতা ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৭ ডিসেম্বর বিকেলে পিতাসহ দুইজনকে আটক করে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব-৯, সিপিসি-১ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের অভিযানিক দল। ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে কিশোরী বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় পিতাকে প্রধান আসামি করে পিতার বন্ধু সহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার আলীনগর এলাকার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে ভিকটিম কিশোরীর পিতা আব্দুল খালেক(৪০) ও তার বন্ধু একই এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে আব্দুল কাদির (৪২)।