বেফাঁস মন্তব্যে বহিষ্কৃত গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:২৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। তার বিরুদ্ধে বিদেশে বসে সরকার এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার (সোমবার) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোহম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, ছুটি নিয়ে বিদেশে গিয়ে গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট ফোরাম আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ সরকার এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের বিরুদ্ধে ও রাষ্ট্রের জন্য হানিকর বক্তব্য রেখেছেন। যা আইন অনুযায়ী অপসারণযোগ্য অপরাধ।
প্রজ্ঞাপনে তার বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, আপনি স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ উপ-ধারা ১) ও (খ) মোতাবেক বাংলাদেশ সরকার এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের বিরুদ্ধে হানিকর বক্তব্য দিয়েছেন, তা প্রমাণ হওয়ায় অপরাধমূলক কার্যক্রম পৌর পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বলে মনে করে সরকার। সেহেতু স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১(১) অনুযায়ী আপনাকে গোলাপগঞ্জের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
জানা যায়, সম্প্রতি লন্ডনে গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল বলেন, আমরা মন্ত্রণালয়ে যাই। সচিবালয়ে সচিবদের সঙ্গে মিটিং করি, এলজিইডি মিনিস্টারের সঙ্গে মিটিং করি। তাদের কাছ থেকেই আমাদের ফান্ড আনতে হয়। ওখানে বিরাট একটা পার্সেন্টিজ দিয়ে আনতে হয়। আপনি ১০০ কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে আসলেন। সেখানে পাঁচ পার্সেন্ট আগেই দিয়ে আসতে হয়।
লন্ডনে দেওয়া তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়। এমন আলোচনার মধ্যেই তাকে বহিস্কার করলো মন্ত্রণালয়।
আমিনুল ইসলাম রাবেল যুক্তরাজ্যে থাকায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য জানা যায় নি।
প্রসঙ্গত, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রাবেল গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চেয়েও পাননি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। দলের বিদ্রোহী হওয়ায় ভোটের আগেই তাকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।