ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আতঙ্ক: সমুদ্র থেকে ফেরেনি অনেক জেলে, উৎকন্ঠায় পরিবার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ৩:৫০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আতঙ্কে রয়েছে আমতলী তালতলীসহ গোটা উপকূলের মানুষ। এছাড়া গভীর সমুদ্রে থাকা শত শত মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদে আসতে না পারায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে ওই জেলে পরিবারগুলো।
রবিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই বরগুনার সমুদ্র উপকূলীয় তালতলী ও আমতলীর আকাশ মেঘলা থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। দিনব্যাপী আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থেকে বিকেল ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে উপকূলীয় মানুষের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উপকূলীয় বেশ কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, সাগরে প্রচণ্ড ঢেউ ও ঝড়ো হাওয়া বিরাজ করছে। শত শত মাছ ধরার ট্রলার গভীর সমুদ্রে অবস্থান করায় নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসতে পারেনি। এতে দুশ্চিন্তায় রয়েছে সমুদ্রে থাকা জেলে পরিবারগুলো।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, বহু ট্রলার এখনো গভীর সমুদ্রে অবস্থান করছে। কোনো ঘাটেই কোনো ট্রলার নেই। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় আমরা যাদের মুঠোফোনে পেয়েছি তাদেরকে নিরাপদ স্থানে আসতে বলেছি। এখন পর্যন্ত কোন ট্রলার ঘাটে আসতে পারেনি। এতে করে জেলে পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের খবরে চিন্তিত হয়ে পড়েছে সমুদ্র উপকূলীয় তালতলী ও আমতলীর কৃষকরা। তারা জানায়, মাঠে এখন তাদের রোপণকৃত পাকা আমন ধান। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হলে ধান গাছগুলো হেলে পড়ে অর্ধেক ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অতীতে ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহাসেন, ফনিতে সমুদ্র উপকূলীয় তালতলী ও পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর তীরবর্তী মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। সেই সঙ্গে গবাদি পশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় মানুষের মধ্যে এখন ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ মুঠোফোনে বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সরকারের যথাযথ নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি।