প্রলয়ংকরী ভূমিকম্পের শঙ্কায় পূণ্যভূমি সিলেট
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ৩:২২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
অনেক আগে থেকেই সিলেট ভূমিকম্পের ‘ডেঞ্জার জোন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ফলে এ অঞ্চলে ভূমিকম্প নিয়ে রয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা; বাড়ছে আতঙ্ক। সর্বশেষ শুক্রবার ভোরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৬ দশমিক ১ মাত্রার এ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে সিলেট।
এ ভূমিকম্প সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিলেও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ বিশেষজ্ঞদের মাঝেও। তারা মনে করছেন, বারবার ভূমিকম্প হওয়ার অর্থ ফল্ট লাইনগুলো সক্রিয় আছে। আর ফল্ট লাইন সক্রিয় থাকায় বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ভূমিকম্পজনিত দুর্যোগ থেকে জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে সংঘটিত ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ১। এটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের চিন রাজ্যের রাজধানী হাখা শহরের ১৯.৫ কিলোমিটার উত্তর/উত্তর-পশ্চিমে। কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩২.৮ কিলোমিটার গভীরে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৩৩৮ কিলোমিটার পূর্ব/দক্ষিণ-পূর্বে। ভারতের মিজোরামের সাইহা থেকে ওই এলাকার দূরত্ব ৬৩ কিলোমিটারের মতো।
প্রায় দুই দশক ধরে বিভিন্ন গবেষণায় সিলেটে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। এমন ভূমিকম্পে সিলেট নগরীর ৯০ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সময়ে সতর্ক করলেও দুর্যোগ মোকাবিলায় দৃশ্যত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সংশ্নিষ্ট সূত্রের তথ্যানুযায়ী, ১৮৯৭ সালের ১২ জুন সিলেট সংলগ্ন ভারতের আসাম রাজ্যে ৮ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়। সেই ভূমিকম্পে আসাম, সিলেটসহ আশপাশের অধিকাংশ বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়; দেড় হাজারেও বেশি মানুষ মারা যায়।
এরপর সিলেট অঞ্চলে বাংলো প্যাটার্নের বাসাবাড়ি বানানোর রেওয়াজ হয়; যা ভারী ইটের বদলে বাঁশ-কাঠ ও সিমেন্ট দিয়ে নির্মিত হতো। সিলেটে ঐতিহ্যবাহী এমন অনেক বাসাবাড়ি থাকলেও দ্রুত নগরায়ণের ফলে সাম্প্রতিক সময়ে বহুতল ভবন নির্মাণের হিড়িক লেগেছে।
সিলেটে ভূমিকম্পকে ভুইচাল বা ভইচাল বলায় আসামের সেই ভূমিকম্প ‘বড় ভুইচাল’ বা ‘বড় ভইচাল’ পরিচিতি পায়। আবহাওয়াবিদদের মতে, সাধারণত একশ বছরের ব্যবধানে বড় ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ হিসেবে যে কোনো সময় সিলেটে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত করলে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার ভবন ধসে যাবে!
বিভিন্ন গবেষণা আর বিশেষজ্ঞদের মতামত থেকে আসা শঙ্কার কথা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই বিলাস বহুল অট্রালিকা তৈরিতে বিশেষজ্ঞরা সচেতন হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে নগর কর্তৃপক্ষও সিলেট শহরে বহুতল ভবন নির্মাণে সতর্ককতা অবলম্বনের তাগিদ দিয়েছেন। ভূমিকম্পের ‘ডেঞ্জার জোন’ খ্যাত সিলেটে ৭ মাত্রার ওপরে ভূমিকম্প হলে ধসে যাবে প্রায় ৩০ হাজার ভবন; এমন অভিমতই দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাই এ অঞ্চলে ঘন ঘন ও বড় ধরণের ভূমিকম্পের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ‘ডেঞ্জার জোন’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পরও দুর্যোগ মোকাবেলার পর্যাপ্ত সক্ষমতা ও প্রস্তুতি নেই সিলেটে।
এছাড়া মহানগরীর ‘অট্রালিকা’ তৈরিতে মানা হচ্ছে না ‘বিল্ডিং কোড’ও। আর এসব কারণেই সিলেটে ভবিষ্যতে শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে বড় ধরণের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে-এমন আশঙ্কার কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক আগেই ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে সিলেটকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ কারণে এক সময় এ অঞ্চলে ‘একতলা টিনশেড’ ঘর নির্মাণ করা হতো। ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ থেকে ক্ষয়ক্ষতি কমাতেই এমন বাড়ি-ঘর তৈরি করা হতো।
কিন্তু এখন নির্মাণ প্রযুক্তি উন্নত হওয়ায় এবং সময়ের বিবর্তনে মানুষ বহুতল ভবন নির্মিাণে আগ্রহী হয়ে ওঠছেন। তাও আবার বিল্ডিং কোড না মেনে। এটা যেনো এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রূপ নিয়েছে। নগরীসহ সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অনেক ভবন মালিক ‘বিল্ডিং কোড’ না মেনে গড়ে তুলছেন বহুতল ভবন কিংবা অট্রালিকা; যা এখন ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহুতল ভবন নির্মাণে ভবন মালিকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শও দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।ভূকম্পন বিশেষজ্ঞদের মতে, সিলেটের অতি কাছে ডাউকির ওপরে ভূফাটল রয়েছে। যা ‘ডাউকি ফল্ট’ হিসেবে পরিচিত। এই ফল্টই ভূমিকম্পের উৎস। আর এই কারণেই সিলেটকে ভূমিকম্পের ‘ডেঞ্জার জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সিসমিক ম্যাপে বাংলাদেশের ভূমিকম্পকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেমন প্রবল, মধ্যম ও নিম্ন। সিলেটকে ‘প্রবল ভূমিকম্পপ্রবণ’ বা ‘ডেঞ্জার জোন’ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ কারণেই সিলেট বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের তালিকায় উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর (সিডিএমপি)’র এক জরিপ অনুযায়ী বড় ভূমিকম্প হলে সিলেট শহরে ৩০ হাজারের বেশি ভবন ধসে পড়তে পারে। তবু সিলেটের বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ হচ্ছে না। শতাধিক ভবন আশঙ্কাজনক হলেও সেগুলো মানুষের বসবাস ও ব্যবসা-বাণিজ্য চলছেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং নিয়ম ভেঙে যত্রতত্র সুউচ্চ ভবন নির্মাণের ফলে ৭-এর অধিক মাত্রার ভূমিকম্পে ধংসস্তুপে পরিণত হবে সিলেট নগর। এতে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে কয়েক হাজার কোটি টাকার; সেই সঙ্গে প্রাণহানি ঘটবে লাখ লাখ মানুষের। জরিপের তথ্য দেখে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বিল্ডিং কোড অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
২০০৬ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এক জরিপ থেকে জানা গেছে, সিলেট নগরীর শতাধিক প্রাচীন ভবন রয়েছে। যেগুলো একশ থেকে দেড়শ বছরের পুরনো। এসব ভবন ভূমিকম্পের মারাত্মক ঝুঁঁকিতে আছে। সিলেট নগরীতে ‘বিল্ডিং কোড’ না মেনে ভবন নির্মাণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, বড় ধরণের ভূমিকম্প হলে সিলেট নগরে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে এটা বিশেষজ্ঞরা আগ থেকেই জানিয়ে আসছেন।
এজন্য সিসিকের পক্ষ থেকে সরকারি-বেসরকারি বহুতল বিল্ডিংগুলো ‘কোড’ মেনে বহুতল ভবন তৈরির জন্য আমরা মাঝে-মধ্যে নোটিশও দেই।
তিনি বলেন, নগরীতে প্রায় ৪২ হাজার ভবন থাকলেও কোনটির ভূমিকম্প সহনীয় ক্ষমতা কতটুকু তার কোনো তথ্য নেই নগরভবনে। তাই ভবনগুলো পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে জুন মাসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা প্রাথমিক পর্যায়ে সমীক্ষা চালায়। এর পর ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানের সাথেও যোগাযোগ করা হয়।ঢাকার ওই প্রতিষ্ঠানটি চারতলা একটা ভবন সার্ভের জন্য ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ফি চায়। সেই হিসেবে সবমিলিয়ে নগরীর ৪০-৪২ হাজার ভবন পরীক্ষা করাতে ২৫-৩০ কোটি টাকার প্রয়োজন। কিন্তু সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এই খাতে এতো বিশাল অংকের টাকা খরচ করার মতো তহবিল নেই। তাই ঢাকার ওই প্রতিষ্ঠানটির সাথে এখনো চুক্তি হয়নি। তবে এখনো আলাপ আলোচনা চলছে।তিনি বলেন, নিয়মমতো ভবন পরীক্ষার টাকা সংশ্লিষ্ট ভবন মালিকদেরই দেয়ার কথা। কিন্তু কেউই টাকা দিতে রাজি হচ্ছে না। তাই সিটি করপোরেশনকে ‘ধীরে চলো’ নীতি অবলম্বন করতে হচ্ছে।
সিলেট আবহওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সিলেট অঞ্চল হচ্ছে ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। সিলেটের উত্তরে রয়েছে ডাউকি ফল্ট ও পূর্বে বার্মিক আর্ক। এ জন্য সিলেট অঞ্চল ভূমিকম্পের জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
তাঁর মতে, শুক্রবারের ভূমিকম্প অদূর ভবিষ্যতে যে বড় আকারের ভূমিকম্প ঘটতে চলেছে তারই সূচক। তিনি বলেন, সমগ্র মিয়ায়ন রেঞ্জে শুক্রবার রিখটার স্কেলে ২ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬ মাত্রা পর্যন্ত ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। আর এসব ঘটেছে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে। এটি একটি ‘ইন্ট্রাপ্লেট মুভমেন্ট’- যা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, সমস্ত থ্রাস্ট ফল্ট লাইনগুলো সক্রিয় রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছোট-বড় ৪৭টি ভূমিকম্পে কেঁপেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ২০১৮ সালে চারবার, ২০১৯সালে সাতবার, ২০২০ সালে ১৫ বার এবং চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ২১ বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গত মাসের ৭ অক্টোবর রাত ১২টা ২৮ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশ। রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মিয়ানমারের মানওয়া।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী গণমাধ্যমকে বলেন, গত দু-তিন বছরে দেশে ভূমিকম্পের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আবার ১০০ বছরের মধ্যে আমাদের এখানে বড় ভূমিকম্প হয়নি তেমন। এটা একটা জিনিস নির্দেশ করে যে এগুলো শক্তি সঞ্চয় করছে। ফলে সামনে বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা আছে।
সিলেটে ভূমিকম্প ও নগরীর ভবন নির্মাণ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক জহির বিন আলম। তিনি আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমরা কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। সিসিকের সিডিএমডি প্রকল্পের আওতায় জাপান সরকারের সহযোগিতায় কাজ চলছে। নগরীতে মাঝারি থেকে অতিমাত্রার ভূমিকম্পে ৯০ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এমন অনেক ভবন মালিককে সিসিক নোটিশ করলেও আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ মে এবং ৭ জুন ভূমিকম্পে অন্তত ১০ বার কেঁপে ওঠে সিলেট।এসব ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল সিলেটের বিভিন্ন এলাকা।৭ জুনের ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৮। এর আগে ভূকম্পনের মধ্যে সর্বোচ্চ কম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। ঘন ঘন ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে নড়েচড়ে বসে নগর কর্তৃপক্ষ।
নগরীর ১০টি মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে সিলেট সিটি করপোরেশন। এরপর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো পরিদর্শন করেন। এরপর তারা মার্কেটগুলোর ভূকম্পন সহনীয়তা নির্ণয়ে স্ট্রাকচারাল ম্যাপ ও সয়েল টেস্টের কাগজ চান। কিন্তু একটি ছাড়া অন্য কোন মার্কেট তাদের কাগজ জমা দিতে পারেননি। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলোর ঝুঁকির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া ১১ জুন থেকে টানা তিনদিন সিলেট এসে অনুসন্ধান চালায় বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) উদ্যোগে গঠিত পাঁচ একটি বিশেষজ্ঞ দলও। তারা ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থলের আশপাশের এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি তাঁরা ভূমিকম্পকালীন বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তও সংগ্রহ করেন।পাঁচ সদস্যের দলটিতে নেতৃত্বে ছিলেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট) প্রকৌশলী মো. শাহীনূর ইসলাম। এ দলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন অধ্যাপক এবং বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার দুজন কর্মকর্তা ছিলেন।
শ্যামল সিলেট