সিলেটে এসআই ফখরুল কান্ডে অতিষ্ঠ এক ‘মা’!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:০৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের বিশ্বনাথে অনেক ধাপটে দারোগা এসআই ফখরুল ইসলামের ঘুষ কান্ডে অতিষ্ট এক ভূক্তভোগী ‘মা’। তিনি উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের প্রবাসী আমির উদ্দিনের স্ত্রী সেফুল বেগম। ওই দারোগাকে দুইবারে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েও মেয়েকে উদ্ধার করাতে পারেননি। এমনকি থানায় উপস্থিত থাকা মেয়ের সাথে দেখাও করতে দেয়ানি ওই দারোগা।
এছাড়াও মেয়েকে উদ্ধার করতে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করলে ওসির সাথে দেখা করতে চাইলে ওই মহিলাকে জোর করে থানা থেকে বের করে দেন দারোগা ফখরুল ইসলাম। এমন বিস্তর অভিযোগ এনে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সেফু বেগম সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ২৮ নভেম্বর তার কাবির রেজিস্ট্রী হওয়া মেয়েকে ফুসলিয়ে পালিয়ে নিয়ে যায় শাহ জাহান মিয়া নামের এক ছেলে। সে রামপাশা উত্তর পাড়া গ্রামের মুসলিম আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় মেয়ের মা সেফুল বেগম থানার এসআই ফখরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা বলেন। এমনকি দারোগা নিজে কম্পিউটারে গিয়ে অভিযোগটি লিখিয়ে দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
অভিযোগের সুত্র ধরে গত ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় রিপন নামের এক সিএনজি চালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে নেয়া হয়। রিপনের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন বলে সেফুল বেগমের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নেন এসআই ফখরুল।
পরদিন ১ ডিসেম্বর সিএনজি চালক রিপনকে ছেড়ে দিয়ে সেফুল বেগমকে বলেন তোমার মেয়েকে নিয়ে আসার জন্য তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সিএনজি চালকের অধীনে উদ্ধারের পর মেয়ের সাথে দেখা করতে না দিয়ে সেফুল বেগমকে ভয় দেখিয়ে থানা থেকে বের করে দেন দারোগা।
এক পর্যায়ে এসআই ফখরুল বিভিন্ন অজুহাতে ওই নারীর কাছ থেকে আরো ৭ হাজার টাকা নেন। পরদিন তিনি কোর্টে গিয়ে দেখেন তার মেয়েকে একটি জিডি মুলে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
এসআই ফখরুলের এমন আচরনে নিরোপায় হয়ে দারোগার বিরুদ্ধে সিলেট পুলিশ সুপার বরাবরে ওই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সেফুল বেগম।
তার উপর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করেছেন এসআই ফখরুল ইসলাম।