সিলেটের স্বতন্ত্র বর্ণ-ভাষা ‘নাগরী’ পুনরুদ্ধারের প্রশিক্ষণ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের স্বতন্ত্র বর্ণ-ভাষা ‘নাগরী’ পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে এর গুরুত্ব তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাস্টারপিস বাংলাদেশ নামের সংস্থা এ উদ্যোগ নিয়েছে।
ইতোমধ্যে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) তত্ত্বাবধানে পাঁচ মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে সিলেট বিভাগের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর মুসলিম সাহিত্য সংসদ অডিটোরিয়ামে ৫ মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুস শুকুরের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারের প্রফেসর ড. আনোয়ারুল ইসলাম।
প্রকল্পের সমন্বয়ক ও মাস্টারপিস বাংলাদেশের সহযোগী সমন্বয়ক জামিল হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আশরাফুল করিম, সহযোগী অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান, নাগরী গবেষক ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষক জেমস লয়েড উইলিয়ামস, নাগরি গবেষক ও লন্ডন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. স্যু লয়েড উইলিয়ামস, বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদের সভাপতি এ কে শেরাম, পঞ্চখন্ড গোলাবিয়া পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক শাহেদ আহমদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পাঁচ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণার্থীদের চৌদ্দ শতকের শুরুর দিকে স্বতন্ত্র নাগরীলিপি উদ্ভবের পর রচিত দুই শতাধিক গ্রন্থের গল্প শুনানো হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মূল্যবান পুঁথি সাহিত্য, কবিতা ও গান। এ প্রকল্পে সিলেটি ভাষা ও ‘নাগরীলিপি’ ছাড়াও মণিপুরী ও খাসিয়া ভাষার সচেতনতা নিয়েও কাজ করেছেন উদ্যোক্তারা।
বক্তারা আরও জানান, ফ্রান্সের ভাষা জাদুঘরে অসংখ্য ভাষার মধ্যে বাংলাদেশের যে দুটি ভাষা সংরক্ষণ করা রয়েছে তার একটি হচ্ছে বাংলা এবং অপরটি সিলেটি ভাষা। সিলেটি নাগরীলিপি মূলত সাহিত্যের ভাষা। ১৮৬০-১৮৭০ সালে মৌলভী আবদুল করিমের প্রচেষ্টায় ইসলামিয়া প্রেস সিলেটের বন্দরবাজারে এবং হামিদী প্রিন্টিং প্রেস কলকাতায় প্রথম নাগরীলিপির ছাপাখানা খোলা হয়েছিল। ইউনিকোডে স্থান দেওয়ার পর কম্পিউটারে লেখার জন্য ইতোমধ্যে নাগরী ফন্ট তৈরি করা হয়েছে।