গোলাপগঞ্জের দক্ষিণ রায়গড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হঠাৎ দুদক
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:৪৪ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোলাপগঞ্জের ‘দক্ষিণ রায়গড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা জেসমিন সুলতানা আমেরিকায় বসে বাংলাদেশে চাকুরী করেছেন’ শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন, প্রিন্ট্র ও ইলেট্রনিক মিডিয়ায় গত কয়েকদিন পূর্বে এ সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদটি দূনীর্তি দমন কমিশনের নজরে আসে। তাহার বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার দুপুর ২টায় সিলেট দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কর্মকর্তারা দক্ষিণ রায়গড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে তার সকল রেকর্ডপত্র দেখেন।
এ বিষয়ে সিলেট দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, প্রধান শিক্ষিকা সৈয়দা জেসমিন সিদ্দিকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় বিষয়টি দুদকের নজরে আসে। এসব বিষয়ে তদন্ত করতে আমাকে তদন্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে আমরা যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক কাগজপত্রসহ প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন, উপ-সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার, উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা বীরেন্দ্র, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাংবাদিক আািজজ খান, শফিক উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
স্থানীয় অভিভাবক ও কমিটির একাধিক সদস্যদের থেকে জানা যায়, দক্ষিণ রায়গড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জেসমিন সুলতানা যোগদান করার পর থেকে বিদ্যালয়ে প্রায়ই অনুপস্থিত থাকতেন। বিদ্যালয়ে যখনই আসতেন হাজিরা খাতায় সকল স্বাক্ষর করে নিতেন। এসব অনিয়ম নিয়ে কমিটির সাথে প্রায়ই বাক বিতন্ডা লেগেই থাকত। কয়েকদিন পরে ২০১৭ সালে স্বামীর আবেদনের প্রেক্ষিতে কাউকে না জানিয়ে আমেরিকায় চলে যান। পরে ২০১৮ সালে এসে ব্যাংক থেকে সকল বেতন-ভাতা তুলে নেন। নতুন কমিটি আসার পর যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদনের প্রেক্ষিতে গনমাধ্যমে এসব অনিয়ম প্রকাশ পায়।