আবরার হত্যা মামলার ২২ আসামি আদালতে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১২:১০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়েছে। আজ সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ২২ আসামিকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আনা হয়। এরপর তাদের আদালতের হাজতখানায় নিয়ে রাখা হয়। আজ বেলা ১২টায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করবেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আজ বেলা ১২টায় বিচারক এই মামলার রায় ঘোষণা শুরু করবেন। গত ১৪ নভেম্বর বিচারিক আদালতে রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। এর আগে আদালতে উভয় পক্ষের শুনানি শেষ হয়। মামলায় ২৫ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছি।
নিহত আবরারের পিতা বরকত উল্লাহ বলেন, আমার ছেলের খুনের সঙ্গে যারা জড়িত সবার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি যেন হয়। কেউ যেন খালাস না পায়।
পড়াশোনা করতে এসে কেউ নির্যাতনের শিকার না হয়। কেউ যেন হত্যা করার সাহস না পায়।
নথি থেকে যানা যায়, গত বছরের ১৫ই সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগ গঠন করেন। ২০১৯ সালের ১৩ই নভেম্বর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে ৬০ জন সাক্ষীর নামে তালিকা দেয়া হয়। এদের মধ্যে ৪৬ জন সাক্ষ্য দেন।
এজাহারভুক্ত ১৯ জনের পাশাপাশি আরও ৬ জনসহ মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন—মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম। এদের মধ্যে মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম পলাতক।
বাকি ৬ জন হলেনÑ ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এস এম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে মোস্তবা রাফিদ পলাতক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২১টি আলামত ও ৮টি জব্দ তালিকা জমা দেন। গ্রেপ্তার ২২ জনের মধ্যে ৮ জন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।
চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান অভিযোগ সংশোধনে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন গ্রহণ করে ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পুনর্গঠন করেন।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় বুয়েট শাখার ছাত্রলীগের ১৯ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও অনেক জনকে আসামি করা হয়।