ছেলেকে হত্যার পর টয়লেটের ট্যাংকে লাশ রেখে মায়ের ভোট প্রার্থনা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ নভেম্বর ২০২১, ৮:৫৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ছেলেকে হত্যার পর টয়লেটের ট্যাংকে লাশ রেখে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যান মা করুণা খাতুন। ভোট প্রার্থনায় সঙ্গে ছিলেন বাবা আলহাজ আলীও।
নিহত ১৮ বছর বয়সী আব্দুল করিম উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের নরিনা হানিফনগর গ্রামের আলহাজ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় পিকআপচালক ছিলেন।
করুণা খাতুন নরিনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ২৬ ডিসেম্বর এ ইউনিয়নের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
ছেলে হত্যার ঘটনায় শুক্রবার সকালে বাবা আলহাজ আলী ও মা করুণা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে টয়লেটের ট্যাংক থেকে আব্দুল করিমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায়ই রাতে মাদক সেবন করে বাড়ি ফিরে সবাইকে নির্যাতন করতেন আব্দুল করিম। এ নিয়ে পরিবারের সবাই তার ওপর অতিষ্ঠ ছিল। মঙ্গলবার রাতে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন বাবা-মা। একপর্যায়ে করিম মারা যান। বিষয়টি গোপন রেখে লাশ টয়লেটের ট্যাংকে ফেলে দেন তারা। বিষয়টি টের পেয়ে শুক্রবার সকালে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী।
নরিনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক বলেন, বিষয়টি এলাকাবাসীর কাছে শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শাহজাদপুর থানার ওসি (অপারেশন) আব্দুল মজিদ বলেন, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে মা-বাবা তাকে হত্যার পর লাশ টয়লেটের ট্যাংকে ফেলে দিয়েছেন বলে এলাকাবাসীর মুখে মুখে রটনা শোনা যাচ্ছে। তবে বিষয়টি সঠিক কিনা তা তদন্ত না করে বলা সম্ভব হচ্ছে না।