ইউপি নির্বাচনে ‘চা খরচ’ নামে নতুন কৌশলের চাঁদাবাজি!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম দাখিল করতে আসা প্রার্থীদের ছবি তুলে ও বক্তব্য রেকর্ড করে চা খরচ নামে ৫০০, ১০০০, ২০০০, ৫০০০ টাকা হারে আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কতিপয় নাম সর্বস্ব সংবাদপত্র, অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক আর ফেসবুক পেজের এডমিনদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ের নীচে ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় চলে ‘চা খরচ নামে’ নতুন কৌশলের এ চাঁদাবাজি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অথচ সাংবাদিকতা মহান পেশা। আর সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, সমাজের আয়না। তবে ‘সাংবাদিকতা’ শব্দটির সাথে অপ উপসর্গ যুক্ত হলে শব্দটি দাড়ায় অপসাংবাদিকতা। যা ইয়োলো জর্নালিজম বা হলুদ সাংবাদিকতা বলে অভিহিত। তবে এর পাল্লা দিন দিন ভারী হচ্ছে কিছু নাম সর্বস্ব সংবাদ পত্র, অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ফেসবুক পেজের বদৌলতে। যার নিয়োগ কিংবা পরিচয়পত্র সরবরাহে নেয়া হয় নগদ টাকা। যারা এসব সংগ্রহ করে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত মোটরসাইকেলের সামনে প্রেস লেখা ষ্টিকার লাগিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তাদের অনেকেই মাধ্যমিকের গন্ডি পার হতে পারেন নি। আবার কেউ কেউ স্বশিক্ষিত হলেও মহা পন্ডিতের ভাব নিয়ে চলছেন। যাদের সাংবাদিকতা চলছে কাট, কপি, পেষ্টে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেশ কিছু সাংবাদিককে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনে চেয়ারম্যান ও মেম্বর প্রার্থীদের ছবি ও বক্তব্য রেকর্ড করতে দেখা যায় নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়। ছবি তুলে ও বক্তব্য রেকর্ড করার পর প্রার্থীদের কাছ থেকে চা খরচ নামে ৫০০, ১০০০, ২০০০, ৫০০০ টাকা হারে আদায় করে নেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রার্থী বলেন, আমি কাউকে আমার ছবি তুলতে বলিনি। অথচ তারা আমার ছবি তুলে আমার কাছে চা খরচ দাবী করেছে। চোখের লজ্জায় আমি তাদের ১০০০ টাকা দিয়েছি। এভাবে ১৬জন চেয়ারম্যান ও শতাধিক মেম্বর প্রার্থীদের কাছ থেকে অনেক টাকা আদায় করে নিয়েছেন তারা। ওই প্রার্থী আরও বলেন, আমি ভোটারদের চা খাওয়াবো, যাতে ভোট আসবে।