নবীগঞ্জে এবার বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন ‘চাল আত্মসাতকারী’ সেই আ’লীগ নেতা
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ নভেম্বর ২০২১, ১০:৩৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
ইউপি নির্বাচনে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল দলীয় প্রতীক না পেয়ে এবার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। সোমবার (১ নভেম্বর) তিনি গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালে গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ইমদাদুর রহমান মুকুল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ সময় ২২৯ জনের ভুয়া নাম ব্যবহার করে ১০ টাকা কেজির সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তালিকায় একাধিকবার একই ব্যক্তির নাম যেমন ছিল তেমনি ভুয়া নামেরও ছড়াছড়ি ছিল।
শুধু তাই নয়, যে গ্রামে হিন্দু পরিবারই নেই সে গ্রামের তালিকায় ছিল অনেক হিন্দু উপকারভোগীর নাম। এমনকি সরকারি চাল নিজের করে নিতে তালিকায় মৃত ব্যক্তিসহ একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানকে দেখানো হয়েছে ভিন্ন ধর্মের। এমনই অস্বাভাবিক ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচারের পর শুরু হয় তদন্ত। এতে বেরিয়ে আসে এমন অনিয়মের চিত্র।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত বছরের গত ৭ জুলাই গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের একটি গ্রামের নিরীহ কয়েকটি পরিবারের বাড়িঘরে আগুন দিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে প্রায় চার মাস কারাভোগও করেন চেয়ারম্যান মুকুল।
এসব বিষয়ে জানতে ইমদাদুর রহমান মুকুলের মোবাইল নম্বরে বারবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘আমি শুনেছি তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে যেহেতু তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, সেহেতু কেন্দ্র তার বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত দেবে তা আমরা বাস্তবায়ন করব।’