বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন বালাগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মতিন, স্বপদে বহাল
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৪:২৬,অপরাহ্ন ২৭ অক্টোবর ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. শিহাব উদ্দিনের বিপক্ষে প্রতিদন্দ্বী প্রার্থী হয়েছেন বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মতিন। তিনি পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছিলেন।
জানা যায়, সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে উপলক্ষ করে বালাগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নের জন্য প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তারপর, ভোটের হিসেবে ক্রমানুসারে তাদের নাম সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের নিকট প্রেরণ করা হয়। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ তৃণমূলের ভোটের হিসেবে ক্রমানুসারে প্রতি ইউনিয়ন ভিত্তিক ৩টি করে নাম কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তরে প্রেরণ করে।
পরে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থীদের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থী মনোনীত করেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই প্রেক্ষিতে তৃণমূলের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সকল প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হয়ে বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি সদস্য মো. শিহাব উদ্দিন। গত ১৭ অক্টোবর প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মতিন তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়। ২০ অক্টোবর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিনেও এম এ মতিনের প্রার্থীতা বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।
২৬ অক্টোবর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনেও দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ মনে করেছিলেন তিনি নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেবেন। সর্বশেষ, গতকাল ২৭ অক্টোবর ছিল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের দিন। এদিন এম এ মতিন ঘোড়া প্রতীক পাওয়ার জন্য নিজের চাহিদা প্রকাশ করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাকে এই প্রতীকটি বরাদ্দ করেন। তবে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্রোহী প্রার্থী এম মতিনের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয় নি বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।
এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী এম এ মতিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানান, অচিরেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মতিনকে তার স্বপদ থেকে বহিষ্কার করা হবে। উল্লেখ্য, বিগত ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে এম মতিন বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়মের জন্য ব্যাপক সমালোচিত হন। মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গরীব-অসহায় লোকজনকে ঘর নির্মাণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে চেয়ারম্যান এম এ মতিনের বিরুদ্ধে।