বেরিয়ে আসছে সিলেটের সেই ভণ্ড কবিরাজের নানা অপকর্ম
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ অক্টোবর ২০২১, ৬:২৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
ভণ্ড কবিরাজ আহাদুর রহমান ইউটিউব দেখে শিখেছেন তন্ত্রমন্ত্র। আর সেই তন্ত্রমন্ত্রই হয়ে ওঠে তার জীবনের বাজির ঘোড়া। আহাদুরের তন্ত্রমন্ত্রের ফাঁদে পড়ে অনেকেই হয়েছেন নিঃস্ব। তবে নিজের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন পঞ্চম শ্রেণির গণ্ডি না পেরোনো আহাদুর।
এত কিছুর পরও শেষ রক্ষা হয়নি। র্যাবের জালে আটকা পড়তে হয়েছে আহাদুর রহমানকে। শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেটের হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ি এলাকা থেকে আহাদুরকে আটক করে র্যাব।
ভণ্ড কবিরাজ আহাদুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই একে একে বেরিয়ে আসছে তার অজানা আরো অপকর্ম।
ভুক্তভোগীরা জানান, আহাদুর রহমান একা নন। তার এ প্রতারণার সঙ্গে জীন মোল্লা নামে আরো একজনসহ একাধিক ব্যক্তির সিন্ডিকেট জড়িত। এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে সহজ-সরল মানুষকে টার্গেট করে প্রতারণা করত। প্রেম-ভালবাসায় সাফল্য, স্বামী-স্ত্রীর অমিল, মামলা-মোকদ্দমায় জয় লাভ, সন্তান ধারণসহ বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে মানুষকে নিঃস্ব করত তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক স্থানীয় এক যুবক জানান, ভণ্ড কবিরাজ আহাদুরসহ এ সিন্ডিকেটের অন্যতম টার্গেট ছিল নারীরা। সমস্যা থেকে মুক্তির নামে বিপদে পড়া নারী এবং প্রবাসীর স্ত্রীদের ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করত তারা। এরপর সেসব ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিতো মোটা অংকের টাকা।
এখন পর্যন্ত ৪০ জন নারীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেছে বলে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে ভণ্ড কবিরাজ আহাদুর রহমান। তার চেম্বার থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল, কম্পিউটার ও মেমোরি কার্ডে এসব ভিডিও পেয়েছে র্যাব।
র্যাব-৯ হবিগঞ্জ সিপিসির কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, দুই বছর ধরে কবিরাজির নামে অপচিকিৎসা ও নারীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিল আহাদুর রহমান ও তার সিন্ডিকেট। এক নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত চালায় র্যাব। এতে সত্যতা পাওয়ায় শুক্রবার অভিযান চালিয়ে আহদুরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। শনিবার আহাদুর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।সুত্র-ডেইলি বাংলাদেশ