বাংলাদেশীরা অবৈধ পথে ইউরোপ, সফল না হলে নিশ্চিত মৃত্যু!
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ৬:০৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর মতো প্রতিনিয়ত হাজারো বাংলাদেশী পাড়ি জমাচ্ছেন স্বপ্নের ইউরোপে। কেউ স্বপ্নের দেশে পৌছে আবার কেউ রাস্তায় মারা যান। কারো লাশ পরিবার পেয়ে থাকেন, কারো লাশের কোন হদিস মিলে না।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে অবৈধভাবে আসার রাস্তাগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইটে তুরস্ক আবার তুরস্ক থেকে বাই রোডে গ্রীস(যা কঠিনের চেয়ে ও কঠিন)। আবার গ্রীস থেকে সেন্ট্রাল ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছেন, বাইরোডে গ্রীস থেকে ম্যাসিডোনিয়া -সার্বিয়া- বসনিয়া – ক্রুয়েশিয়া – স্লোভেনিয়ার/স্লোভাকিয়া হয়ে ইতালী,ফ্রান্স,পর্তুগাল,আবার কেউবা স্পেন ।
অন্যদিকে মধ্যেপ্রাচ্য হয়ে দুবাই-কাতার-ওমান-কুয়েত-বাহারাইন,সৌদি আরব থেকে ও ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টায় বাইরোডে আসেন আলবেনিয়া,সার্ভিয়া, ম্যাসিডোনিয়া, কসোভো,গ্রীস।
এতে জানাযায় তাদের খরচ পরে আট থেকে দশ লক্ষ টাকা । এখানে শেষ নয় আরো চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা লাগে সেন্ট্রাল ইউরোপে যেতে।এই যাত্রা কে গেইম বলে। কেউ সফল হয়, কেউ বিশ বারেও পার হতে পারে না। এতে করে মধ্যবিত্তরা সর্বহারা হচ্ছেন।
জানা যায় বসনিয়া,গ্রীস,সার্বিয়ায় হাজার হাজার বাংলাদেশী ৮ মাস- ১ বছর, ২ বছর পর্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করতেছে। সামনে শীতকাল আসতেছে তাদের মত যারা ক্রোয়েশিয়ার আশে পাশে জংগলে তাবু ঘেরে আছে তারা ভাল বলতে পারবে জীবন কত কস্টের!
সবাই আম’রা ভাল জীবন চাই, কিন্তু এমন জীবনের আশায় যদি একজন মা’রা যায় এর দায় কে নেবে। না পরিবার পরিজন।
এব্যাপারে কথা বলে গ্রীস বাংলাদেশ কমিউনিটি এর সভাপতি হাজী আব্দুল কুদ্দুস বলেন অ’বৈধ প্রবাসীদের উদ্দেশ্য (যারা আসতে চান) আপনাদের কেউ মানা করছে না তবে সচেতনতার জন্য কথা গুলো বলা, প্রবাসের মানুষ গুলো অনেক সংগ্রাম করে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য কিন্তু একবার অগটন ঘটলে জীবন বরবাদ হবে। যেখানে আসবেন বুঝে শুনে আসবেন। কাউকে উৎসাহ দিচ্ছি না, কাউকে ডিমোটিভেইটও করছি না। ভাল মন্দ জেনে আসা দরকার।
অ’বৈধ ভাবে আসা এ পথের এক যাত্রী আলী হোসেন জানান দীর্ঘদিন খাবার না খেয়ে শুধু পানি আর শুকনো খাবার খেয়ে আবার এমনও অনেক দিন খাবার জন্য কিছু পাই না না খেয়ে থাকতে হয়েছে এই বসনিয়ার জঙ্গলে।