অভিযোগেও ‘পাত্তা দেয় না’ গ্রিনলাইন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:৪৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
ঢাকা-চট্টগ্রামরুটসহ অন্যরুটে গ্রিনলাইন পরিবহনের উন্নত বাস থাকলেও সিলেট-ঢাকা রুট দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। এ রুটে দীর্ঘদিন ধরে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ চালাচ্ছে অনুন্নত কোচ। যার মাশুল দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। গ্লাস ভাঙা, মালালাল রাখার লাগেজ বক্সে ছিদ্র, শীতাতপ সমস্যাসহ নানামুখী সমস্যা নিয়েই গ্রিনলাইন পরিবহন চালাচ্ছে তাদের কার্যক্রম।
আর এসব সমস্যায় ভুক্তভোগী সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। প্রায় ১০দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও কেউই তার সাথে যোগাযোগ করেনি। গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় তার বেশ কয়েকটি মামলার নথিসহ, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ভিজে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তিনি বড়রকমে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কিন্তু গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনো গুরুত্বই দেয়নি তার অভিযোগের।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খায়রুল ফজল শুক্রবার রাতে একাত্তরের কথা’র কাছে জানান, তিনি ও তার সহকর্মী অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী গত ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাসে (কোচ নং ৫০৯-বি-জিএবি, রেজিস্ট্রেশন নং ঢাকা মেট্রো-ব-১৪২৯৫৮) রাত পৌণে ১১টায় রওয়ানা করেন। ঢাকার রাজারবাগ কাউন্টার থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে বাসটি ছাড়ার সময় তাদের মালামাল বাসের লাগেজ বক্সে রাখা হয়।
লাগেজে মামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রসহ জরুরি অন্যান্য কাগজপত্র ছিল। সকাল আনুমানিক ৬টার দিকে বাসটি সিলেটের কদমতলীতে পৌঁছে। তখন তার লাগেজটি তার কাছে দেওয়ার সময় দেখেন সেটি সম্পূর্ণ পানিতে ভিজে গেছে। ভিতরে থাকা তার কাপড়-চোপড়, সকল কাগজপত্র ভিজে গেছে। এ বিষয়ে তিনি তাৎক্ষণিক সিলেটের বাস কাউন্টারে দায়িত্বরতদের অবগত করেন। তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
তিনি লিখিতভাবে বিষয়টি অবগত করে আসেন। কিন্তু আজ প্রায় ১০ দিন পরও বাস কর্তৃপক্ষ তার সাথে কোনোরকম যোগাযোগ করেনি। মালামাল ভিজে যাওয়ার কারণে তার অনেক ক্ষতি হয়েছে। যেসব জরুরি দলিল দস্তাবেজ ভিজে গেছে। কাগজপত্রগুলো প্রায় সম্পূর্ণই নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি লাগেজের ভিতরে থাকা কাপড়-চোপড়সহ অন্যান্য সামগ্রীও ভিজে গেছে। এতে তিনি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
পরে তিনি তাৎক্ষণিক কদমতলী গ্রিনলাইন কাউন্টারে বিষয়টি অভিযোগ করেন। তারা তাকে আশ্বস্থ করেছিলেন ঢাকায় কথা বলে বিষয়টি আলোচনা করবেন। কিন্তু আজ ১০ দিন হয়ে গেছে এখন পর্যন্ত তার সাথে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনোরকম যোগাযোগ করেনি। কোনোরূপ দুঃখ প্রকাশও করেনি।
আইনজীবী খায়রুল ফজল গ্রিনলাইন বাসের সেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাদের সেবার মান খুবই খারাপ। ঢাকা-চট্টগ্রামরুট সহ অন্যান্য রুটে দামি ও নতুন বাস দিয়ে সেবা দিলেও। তারা সিলেটে সব থেকে বাজে বাস চালাচ্ছে। অথচ তারা কড়ায়গÐায় টাকা নিচ্ছে। কোন ছাড় দিচ্ছে না।
গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষের রাজারবাগ কাউন্টারের নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়। তবে পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০টায় গ্রিনলাইন সিলেটের ম্যানেজার আলমগীরের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তিনি অভিযোগটা জানার পরেরদিন ওই যাত্রীর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। ওই যাত্রী ফোন রিসিভ করেননি।
এরপরে তিনি করোনাক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তিনি খুব দ্রুত ওই যাত্রীর সাথে যোগাযোগ করবেন। বিষয়টি সুষ্টুভাবে সমাধানের চেষ্টা করবেন।সুত্র-একাত্তরের কথা