আমি দেখেছি কান্না আর হায়হুতাস, আর দেখতে চাইনা, পূর্বপৈলনপুর নৌকা প্রত্যাশী শিহাব উদ্দিন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৭:১৯ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন।
তার জনসমর্থন অন্যসবার তুলনায় বেশি দাবি করে তাঁর সমর্থকরা বলেন, আওয়ামী লীগের দুর্দিন দুঃসময়ে শিহাব উদ্দিন নির্যাতিত হয়েছেন। তাঁকে দল মূল্যায়ন করলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের গণ মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করতে পারবে। তাঁরা জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য দল তাঁর প্রত্যাশা পূরণের সুযোগ করে দেবেন আশা করি।
সমর্থকরা আরো বলেন, সিহাব উদ্দিন প্রায় ১০ বছর (দুই কালীন) ধরে পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দলীয় সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছে। তাঁর ছাত্রকালীন সময় থেকে আদর্শ পিতা মুজিব-এর রাজনীতিতে অটল ছিলো।
জানা যায়, শিহাব প্রথমে ডাচ বাংলা লিঃ ম্যানেজার ছিলেন। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধুর মানস কন্যা শেখ হাসিনা’র হাত কে তথা আওয়ামী লীগ কে শক্তিশালী করার প্রত্যয় নিয়ে, চাকুরী ছেড়ে তৃণমূলের রাজনীতিতে নিজেকে সক্রিয় করেন। এবং সাবেক ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ লাভ করেছিলেন।
তাঁর সমর্থকরা জানান, অতিমারি করোনা কালীন দুঃসময়ে জনসমাগম না করেও মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে সহযোগীতা করে যে ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছেন তা অভূতপূর্ব। দলের নেতাকর্মীরা তাকে উৎসাহ দিচ্ছেন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ পেলে বিপুল ভোটে ভোটাররা তাকে বিজয়ী করবেন বলে বিশ্বাস করি আমরা।
শিহাব বলেন, আমি বিশ্বাস করতাম, করি, করবো রাজনীতি কোন পদবি দিয়ে নয়, বরং আদর্শ পিতার আদর্শিকতা ও স্বপ্ন কে বুকে লালন করে রাজনীতির মাঠে নেমেছি ছাত্রাবস্থায়। তাই আমার কোন পদের লোভ-লালসা নেই। আমার সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগ, আমার রাজনৈতিক নেতা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে উন্নীত করেছেন। দলীয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবো। আমি দলের উর্ধ্বে নয়। আওয়ামী লীগ মনোনয়ন পেলে, চাঁদাবাজী, প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে বাণিজ্য ও মাদকমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত করে পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদকে উপজেলার মধ্যে আধুনিক ও দৃষ্টিনান্দনিক ইউনিয়নে রূপান্তরিত করার আমৃত্যু বদ্ধ পরিকর।
তিনি আরও বলেন, সমাজ, গ্রাম, মহল্লার স্বার্থে অবৈধ ভাবে কোন কাজের সুযোগ থাকবে না। আমি অবহেলিত, দিনমজুর, গরিব মানুষের কল্যাণে কাজ করব। এলাকার অবহেলিত, অনুন্নত রাস্তা সংস্কার/নির্মাণ। তালিকার মাধ্যমে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সরকার প্রেরিত সকল অনুদান প্রাপকের কাছে পৌঁছে দেয়ার আমৃত্যু চেষ্টা করব। আমি দেখেছি সাধারণ মানুষের কান্না আর হায়হুতাস, নদীতে বালু বাণিজ্য করে সাধারণ জনগনের মাথার টাই গোচানোর জায়গা নাই। মসজিদ, মন্দির, স্কুল ইত্যাদি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে কিছু স্বার্থলোভী মানুষের কারণে। আমাকে কাজ করার সুযোগ দিলে, আমি মাঠের মানুষ, কদরের কমতি হবে না। ইনশাআল্লাহ্!
জীবনের পুরোটা সময় তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের জন্য ব্যয় করার প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়ে বলছি- বিদ্যুৎ ও রাস্তাঘাটের উন্নয়ন তথা ইউনিয়ন পরিষদ ও খেটে খাওয়া মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করব। সে সঙ্গে জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদ কে উন্নয়নের রোল-মডেল হিসেবে পরিচিত করব।
জনপ্রতিনিধি হওয়ার কারণ কি?এমন প্রশ্নের উত্তরে
শিহাব উদ্দিন বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামীলীগের রাজনৈতি করে আসছি।এবং পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত হয়েছি। সর্বদা মানুষের কল্যাণে সমাজসেবামূলক কাজ করতে আমি ভালোবাসি। আর সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে সকল প্রকার জনসেবায় আত্মনিয়োগ অসম্ভব, তাই জনপ্রতিনিধি হওয়ার প্রয়াস।
এছাড়াও এলাকার তরুণসমাজ, প্রবীণ ও বিভিন্ন পেশাজীবিদের অনুরোধে আমি পূর্বপৈলনপুর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়ে নৌকার মনোনয়ন চাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আল-হামদুলিল্লাহ আমার বিশ্বাস সকলের দোয়া ভালোবাসা আমার প্রতি আছে, আগামীতেও থাকবে।