দোয়ারাবাজারে মসলার দোকানে ক্রেতাদের ভিড়
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জুলাই ২০২১, ১২:৩০ অপরাহ্ণ
মনোরম চক্রবর্তী:>>
রাত পোহালেই পালিত হবে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। এই ঈদের আগের দিন মঙ্গলবার (২০ জুলাই) দোয়ারাবাজারের মসলার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
বিভিন্ন দোকানে ভিড় করে দারুচিনি, জিরা, এলাচ, লবঙ্গ, পেস্তা বাদাম, কাজু বাদাম, হলুদের গুঁড়া, শুকনা মরিচসহ বিভিন্ন মসলা কিনছেন ক্রেতারা। বিক্রি বহুগুণ বাড়লেও গরম মসলার দাম নতুন করে বাড়েনি। তবে চীনা আদা ও রসুনের দাম বেড়ে গেছে।
একটি দোকান থেকে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে মসলা কেনা আরকুম মিঞা বলেন, আগামীকাল ঈদ। এখনো কোনো মসলা কেনা হয়নি। মাংস রান্না করতে গেলে মসলা কিনতেই হবে। দোকানে ভিড়, এতে কিছু করার নাই।
তিনি বলেন, আমরা কোরবানি দিচ্ছি না। কিন্তু আগামীকাল মাংসের অভাব হবে না। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর মাংস আসবে। পরিবারের সবাই মিলে তৃপ্তি করে আগামীকাল মাংস খাব।
মসলার ব্যবসায়ী আলী হুসেন বলেন, দুই-তিন দিন ধরে ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের ভিড় আজ সব থেকে বেশি। আজ না কিনলে তো আর কেনার সুযোগ নেই, তাই সবাই একসাথে এসে ভিড় করছে।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে মনে হচ্ছিল এবার মসলার বাজারে মন্দা যাবে। তবে দুই-তিন দিন ধরে সেই শঙ্কা কেটে গেছে। মানুষ প্রচুর মসলা কিনছে। যদিও এবার মসলার দাম বাড়েনি।
এদিকে ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, খুচরা পর্যায়ে শুকনা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। হলুদের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৮০ টাকায়। ভারতীয় জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। দারুচিনির বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা কেজিতে। এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ থেকে ২৮০০ টাকা কেজি। লবঙ্গের কেজি ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকার মধ্যে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে এ পণ্যগুলোর দাম বাড়া-কমার ঘটনা ঘটেনি।
অবশ্য খুচরা বাজারের মতো পাইকারি বাজারেও গরম মসলার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। পাইকারিতে ভারতীয় জিরা বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে। চারুচিনি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩৬০ টাকা। এলাচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫০ থেকে ২৪৫০ টাকা। আর লবঙ্গের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৪০ টাকা।
মসলার পাইকারি ব্যবসায়ী আরজদ আলী বলেন, কোরবানির ঈদকেন্দ্রিক যে সময় আমাদের বিক্রি হওয়ার কথা, সে সময়টাই লকডাউনের মধ্যে পড়ে গেছে। তারপরও কয়েকদিন ধরে ভালো বিক্রি হয়েছে। এবার কোনো মসলার দাম বাড়েনি।