‘করোনা’ নেই শাহজালাল মাজারে!
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জুলাই ২০২১, ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
দিনভর করোনা ছিল। রাতে তা উদাও হলো। তাও আবার বাবার মাজারে। করোনার পথ মাড়িয়ে ভক্তদের ঢল। তাও আবার কঠোর লকডাউনের প্রথম রাতে। দরগাহ মাজারে ওরস শেষে শিরণী বিতরণের দৃশ্যটাই এমন বলতে বাধ্য করেছে।
বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) থেকে সিলেটসহ সারা দেশে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন।
৩০ জুন, বুধবার মন্ত্রী পরিষদ কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান যেখানে লোকসমাগম হয়। এমনটি করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে।
সেই লকডাউন আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে লকডাউন শুরুর প্রথম রাতেই হযরত শাহজালাল রহ. মাজারে বিপুল সংখ্যক লোক সমাগম হয়। ছিল শাহজালাল (র:) মাজারে ওরস।
দিনভর সিলেটের রাজপথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকলেও রাতে দরগাহ মাজারে বিপুল সংখ্যক লোক সমাগম ঠেকাতে পারে নি।
সরেজমিনে দরগাহ মাজার গেইটে দায়িত্বরত অবস্থায় পুলিশ সদস্যরাও ছিলেন। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে সেখানে জড়ো হয় হাজারো ভক্ত। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে জনসমাগম করে ওরসের আয়োজন করায় করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার হযরত শাহ জালাল (র:) এর ওফাৎ দিবস উপলক্ষ্যে দরগাহ প্রাঙ্গনে ওরস, মিলাদ ও শিরনী বিতরণের আয়োজন করা হয়। এতে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে হাজারো ভক্তবৃন্দ উপস্থিত হন দরগাহ প্রাঙ্গণে। সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা ভাইরাস। এ পরিস্থিতিতে সরকার ৭দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষনা করেছে। লকডাউনেরও প্রথম দিন মাঠে তৎপর ছিল। তবে জনসমাগম নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে এর আয়োজন করায় করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি বেড়েছে বলে জানান সচেতন মহল।
শ্যামল সিলেট