শ্রীমঙ্গলে সড়কে জলাবদ্ধতা চরম জনদুর্ভোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুন ২০২১, ৭:২৫ অপরাহ্ণ
আলআমিন মিয়া,শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সাতগাঁও-সিন্দুরখান ভায়া আশিদ্রোণ সড়কটি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পরে আছে। উপজেলার সাতগাঁও বাজার হতে পার্শবর্ত্তী আশিদ্রোণ ইউনিয়নের জামসী কালীবাড়ী হয়ে সিন্দুরখান যাওয়ার পথে দীর্ঘ ৭ কিলোমিটার সড়কজোরে ছোট-বড় খনাখন্দে পানি জমে উঠেছে। ফলে স্থানীয় তিন ইউনিয়নের অসংখ্য গ্রামবাসীর যাতায়াত ব্যবস্থায় জনদুর্ভোগ চরমে ঊঠেছে। অত্যন্ত নাজুক পরিস্থিতিতে বিকল্প মারাত্মক ভোগান্তি নিয়ে শহরের সাথে যোগাযোগ করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
জানা যায়, ২০১৯ সালের জুন মাসে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংক-আইডিএ এর অর্থায়নে ‘সেকেন্ড রুরাল ট্রান্সপোর্ট ইমপ্রæভমেন্ট প্রজেক্ট (আরটিআইপি-২)’ প্রকল্পের আওতায় ৬ কোটি ৫৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫৫২ টাকার চুক্তিমুল্যে সাতগাঁও জিসি-সিন্দুরখান ভায়া কালিবাড়ী বাজার সড়কে ৬ দশমিক ৭৯০ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের টেন্ডার কাজ কাজ শুরু করে ডলি কন্সট্রাকশন নামে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে কিছুদিনের মধ্যেই কাজ বন্ধ করে দেয় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। ২০২০ সালের ৩ অক্টোবরের মধ্যে এই কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও অদ্যাবদি এ কাজের কোন অগ্রগতি হয়নি।
স্থানীয় একরামুর কবীর, দেবব্রত সেন বিষ্ণু, বখতিয়ার উদ্দিন, পরেশ পাল, আল আমিন, সুব্রত দেব, নিতাই দাশ প্রমুখ ব্যক্তিরা জানান, সড়কের যত্রতত্র ভাঙ্গনের ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই পুরো সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পার্শবর্ত্তী ভ‚জপুর, দেবীপুর, কালীবাড়ী, জামসি, তপশ্বীপাড়া, পশ্চিম আশিদ্রোণ, পাড়ের টং, ডুবাগাঁও, হরিণাকান্দি, রঘুনাথপুর, পাইকপাড়া, বাজারবাড়ি, বনগাঁও, কাদিরগাঁও, মন্দিরগাঁও, কামারগাঁও সহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত ব্যবস্থায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। প্রতিদিন চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে কাঁদা-পানি মাড়িয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে শহরের সাথে যোগাযোগ করছেন তারা।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডলি কন্সট্রাকশনের মোটফোনে সড়ক মেরামত কাজ বন্ধ রাখার কারণ জানতে চাইলে কোন সদোত্তর না দিয়েই ফোন কেটে দেওয়া হয়।
এদিকে আরটিআইপি-২ প্রকল্প এর আওতায় সাতগাঁও-সিন্দুরখান ভায়া আশিদ্রোণ সড়ক মেরামত কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে না পারায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডলি কন্সট্রাকশনের টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম। এছাড়া ওই সড়কের বর্তমান অবস্থা জরিপ করে পরবর্ত্তী টেন্ডার ঘোষণা করা হবে।