বালাগঞ্জ উপজেলাকে দৃষ্টিনন্দন করতে ইউএনও রোজিনা আক্তারের পরিকল্পনা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুন ২০২১, ৭:২২ অপরাহ্ণ
জাগির হোসেন, বালাগঞ্জ:
বালাগঞ্জ উপজেলায় প্রথম মহিলা ইউএনও যোগদানের পর থেকে দায়িত্ববোধকে প্রাধান্য দিয়ে ইতিমধ্যে দায়িত্বশীল অফিসার পরিচয়ে বালাগঞ্জের মানুষের মন জয় করেছেন সৎ, নির্ভীক, বিচক্ষণ, চক্ষুষ্মান কাজ প্রেমিক, ধার্মিক ব্যক্তি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের মেয়ে রোজিনা আক্তার। পিতা-মাতা কনিষ্ট সন্তান তিনি। নিজ উপজেলায়ই প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে বড় ভাইয়ের সাপোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাব বিজ্ঞান (Accounting) বিভাগে পড়াশোনা করেন। BBA ও MBA সমাপ্তির পর পরই ৩৩তম বিসিএস এর মাধ্যমে সাফল্যের চূড়ায় পা রাখেন রোজিনা আক্তার। ৩৩তম বিসিএস’য়ে ৭২তম হোন তিনি। এর পর থেকে শুরু হয় তাঁর কর্মজীবন। ২০১৪ সালে প্রথম পোস্টিং হয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ভোলায়, পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত থেকে নিজের দক্ষতার পরিচয় দেন। চলতি বছর শীতপাটির রাজধানী খ্যাত বালাগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হয়ে আসেন রোজিনা আক্তার।
এক সাক্ষাৎকারে রোজিনা আক্তার বলেন, কর্মজীবনে ছোট বড় সবকাজই পছন্দ করেন তিনি। অবসরে বাচ্চাদের নিয়ে সময় কাটাতে, বই পড়তে, ফুলের বাগান দেখাশুনা করতে ভালোলাগে তাঁর। পারিবারিক জীবনে মুমতাহিনা মারইয়াম ও মুসফিরাত তাসনিম দুই মেয়ে সন্তানের জননী। স্বামী সিলেট সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক।
বর্তমান কর্মস্থল সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন করতে তাঁর পরিকল্পনার কথা বলেন, বালাগঞ্জ কে বলা হয় শীতলপাটির রাজধানী। তাই শীতলপাটি কে বাজারজাত করণ সুন্দর ও সহজলভ্য করার লক্ষে, শীতলপাটির উদ্যোক্তাদের জন্য ‘এক সবা’র সাথে সংযুক্ত করে ব্যবসাকে প্রসারিত করার কাজ করছি। বালাগঞ্জ উপজেলাকে দৃষ্টিনন্দন করতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর মহোদয়ের সহযোগীতায় উপজেলা কমপ্লেক্স রোডে বৃক্ষ ও নানান ফুলের সারি লাগানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
বালাগঞ্জের মানুষের বহুদিনের স্বপ্ন কুশিয়ারা সেতু, বড়ভাঙা সেতু সহ মামলাধীন রাস্তার কাজ সম্পন্ন করার লক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা করছি। উপজেলায় বঙ্গবন্ধু মডেল মসজিদ ও ৫১শয্যা বিশিষ্ট হসপিটাল ও প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ননীড় তৈরীতে যাতে কোন প্রকার দুর্নীতি না হয় সেদিকে সর্বদা মনোনিবেশ রয়েছি। এমনকি উপজেলার নদীপথ ও স্থল পথে অবৈধ কাজের বা যেকোনো দুর্নীতি দমন করতে উপজেলা প্রশাসন সুদৃঢ় থাকবে।
মহামারি কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের সকল ধরনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে যা যা পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন সেগুলো করা হবে। দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে যেমন দিন দিন করোনা শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, সিলেটও একটি সীমান্তবর্তী এলাকা তাই করোনা ভাইরাস প্রতিহত করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনসমাগম এড়াতে উপজেলা প্রশাসন সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।