সিলেটে লকডাউন : অ্যাপে নয়, ‘খ্যাপে’ চলছে রাইড শেয়ারিং
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ এপ্রিল ২০২১, ৩:৩২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণার পর রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবার ও পাঠাও তাদের যাত্রী পরিবহন বন্ধ রেখেছে। জনপ্রিয় এ দুটি রাইড শেয়ারিং কোম্পানি তাদের সেবা বন্ধ রাখলেও থেমে নেই মোটরবাইকে যাত্রী পরিবহন। অ্যাপের পরিবর্তে এখন খ্যাপে চলছে যাত্রী পারাপার। এ নিয়ে পুলিশের কড়াকড়ি অবস্থান থাকলেও চোখ ফাঁকি দিয়েই চলছে সেবাটি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সোমবার (১৪ এপ্রিল) থেকে সিলেটসহ সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে বিধি-নিষেধ আরোপ করে সরকার। এতে সিলেট নগরীতে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। ফলে দরকারি কাজ সারতে গিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়েন নগরবাসী। এ সুযোগেই অ্যাপে পরিচালিত মোটরবাইকগুলো এখন অ্যাপের পরিবর্তে খ্যাপে (কন্ট্রাক্টে) যাত্রী পরিবহন করছে।
শনিবার সকালে নগরের আম্বরখানা, টিলাগড়, বন্দরবাজার (কোর্ট পয়েন্ট) ও দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশিদ চত্বর, চন্ডিপুল, শিববাড়ি এলাকার সড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় তারা যাত্রীদের ডেকে ডেকে পরিবহন চেষ্টা করছেন চালকরা।
রাইড শেয়ারিংয়ে যুক্ত চালকদের দাবি লকডাউনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। সরকারি বিধিনিষেধে তাদের উপার্জনের পথ এখন বন্ধ। তবু অনেকে পেটের তাগিদে লুকোচুরি করে ‘খ্যাপ (চুক্তিতে ভাড়া)’ খাটছেন তারা।
তবে সাধারণ যাত্রীরা অভিযোগ, অ্যাপের চেয়ে খ্যাপের মাধ্যমে মোটরবাইক চালকরা কয়েকগুণ বেশি টাকা আদায় করছে। তাছাড়া গণপরিবহন বন্ধের সুযোগও তারা নিচ্ছেন। এতে বাধ্য হয়েই গন্তব্যে পৌঁছার কারণে তাদের দাবীকৃত ভাড়াই পরিশোধ করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে মোটরবাইক চালকরা বলছেন, মানুষের চলাচল কম, ট্রিপও কম, বেশি ভাড়া না নিলে পোষায় না। বিশেষ করে যেসব জায়গায় যাত্রী নেওয়ার পর ফিরতি যাত্রী পাওয়া যায় না, সেসব জায়গায় বেশি ভাড়া চাওয়া হয়। তাদের অ্যাপ চালু থাকলে অনেক বেশি যাত্রী পাওয়া যায়, আবার অ্যাপভিত্তিক বোনাস পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে তাদের পুষিয়ে যায়।
এদিকে সিলেট মহানগর পুলিশ বলছে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থানরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা মোটরবাইকে দুইজন পরিবহন হতে দেখলেই মামলা দিচ্ছেন। এমতাবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক সিগন্যালগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন মোটরবাইক চালকরা।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্যাহ বলেন, ইতোমধ্যে এসকল ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে মহানগর পুলিশ। গত তিনদিনে ৯৭ টি মোটরসাইকেল এবং চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৮৯টি মোটরসাইকেল আটক করে হয়েছে। এছাড়া লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।-সিলেটটুডে