মেডিকেলে ভর্তি সুযোগ পেয়েও অনিশ্চিয়তায় বড়লেখার ভ্যান চালকের কন্যা বুশরা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ এপ্রিল ২০২১, ৮:১২ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার পশ্চিম দক্ষিণভাগের হতদরিদ্র ভ্যান চালক আব্দুল হান্নান ও গৃহিনী মমতাজ বেগম ময়নার মেয়ে অদম্য মেধাবী বুশরা আক্তার বেসরকারী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এতে আনন্দের চেয়ে অর্থাভাবে ভর্তি হতে না পারার দুশ্চিন্তায় ভুগছে সে ও তার মা-বাবা। বুশরার মেডিকেলে ভর্তির সহযোগিতায় কেউ এগিয়ে না আসলে তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নের এখানেই ইতি ঘটবে।
জানা গেছে, বাবা-মায়ের চরম দারিদ্রতার মধ্যে বেড়ে উঠা বুশরা আক্তারের। অদম্য মেধার কারণেই পারিবারিক প্রতিকুলতার মধ্যেও পড়াশুনায় সে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে থাকে। টেলেন্টপুলে প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি অর্জন করেছে। লেখাপড়ায় জেদ ধরায় অভাব অনটনের মধ্যেও মা-বাবা তার পড়াশুনা বন্ধ করেননি।
২০১৮ সালে দক্ষিণভাগ এনসিএম উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে জুড়ী টিএন খানম একাডেমি ডগ্রিী কলেজে ভর্তি হয় বুশরা। ২০২০ সালে এইচএসসিতে এ-প্লাস পেয়ে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সে বেসরকারীতে ভর্তির চান্স পায়। কিন্তু দরিদ্র মা-বাবার পক্ষে ভর্তির এত অর্থ যোগান দেওয়া কোনমতেই সম্ভব নয়। বেসরকারী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়ে আনন্দিত হওয়ার চেয়ে অর্থাভাবে ভর্তি না হওয়ার দুশ্চিন্তায় ভুগছে হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে মেধাবী ছাত্রী বুশরা আক্তার।
সে জানায় আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে ছোটবেলা থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখি। এখন চান্স পেয়ে দুশ্চিন্তা বেড়ে গেছে। দারিদ্রের বাঁধা অতিক্রম করে মেডিকেলে ভর্তির টাকা যোগাড় করা মা-বাবার পক্ষে মোটেও সম্ভব নয়। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পুরণে বুশরা আক্তার সমাজের বিত্তবান ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্ঠি কামনা করেছে ।
বুশরার মা মমতাজ বেগম জানান, পড়ার প্রতি মেয়ের প্রচন্ড ঝোঁকের কারণেই অর্থকষ্টের মধ্যেও তার পড়াশুনা বন্ধ করেননি। মেট্টিক পাশের পর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যায়। এখন ভর্তির চান্স পেয়েছে। তার বাবার একটি ভ্যান গাড়ি ও ৫ শতাংশ বসতবাড়ি ছাড়া আর কোন সম্বল নেই। এগুলো বিক্রি করেও বেসরকারী মেডিকেল কলেজে মেয়েকে ভর্তি করাতে পারবো না। বুশরার বাবা ও মা তাদের মেয়ের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পুরণে সমাজের বিত্তবান ও কোন বেসরকারী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে তাদের ও মেয়ের স্বপ্ন পূরণের আহবান জানান।