এবার ঘরে নয়, ওসমানীনগরের মসজিদে মসজিদে মুক্তির প্রার্থনা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ মার্চ ২০২১, ২:২২ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা মহামারীর কারণে গত বছর শবেবরাতে স্বাস্থ্যবিধির জন্য বন্ধ ছিলো দেশের সকল মসজিদ। ঘর বসেই মুসলমানরা করেছিলেন মুক্তির প্রার্থনা। তবে এবার এক বছর কাটিয়ে মুসলমানরা মসজিদে মসজিদে করছেন মুক্তির প্রার্থনা।
প্রতি বছরের ন্যায় গতকাল সকাল থেকেই শুরু হয় বাজারে ভিড় আর গ্রামে গ্রামে কবরস্থান পরিষ্কার করা। স্থানীয়ভাবে কয়েকজন মিলে হয়েছে গরু জবাই। সব ছাপিয়ে বিকাল হতেই গ্রামের রাস্তায় মুসল্লিদের আনাগোনা বেড়েছে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে আগরবাতি হাতে শিশুপ্রাণ দলে দলে ছুটেছে এক গোরস্থান থেকে অন্য গোরস্থানে।
বড়রাও বাচ্চাদের নিয়ে করছেন স্বজনদের কবর জিয়ারত। মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ভিড়। রাত গভীর হলেই শুরু হয় জিকির মসজিদগুলোতে। এটি যেন ওসমানীনগরবাসীর জন্য অতি পরিচিত অতীত। শবেবরাতে উপজেলার সকল জায়গায় এমন দৃশ্য গতবার চোখে না পড়লে এবার ঠিকই পড়েছে।
গত বছর করোনা মহামারীর কারণে অনেকটা নীরবেই কেটেছে শবেবরাত। মসজিদে ছিলো না মুসল্লিদের ভিড়। মাইকেও ছিলো না ওয়াজের সুর। কেবল পাড়ায় মহল্লার ঘর থেকে ভেসে আসছিলো জিকিরের সুর।
সোমবার (২৯ মার্চ) বিকেল থেকে উপজেলার সর্বত্রে অন্যান্য বছর যেভাবে শবেবরাত পালন করা হয় সেই দৃশ্য চোখে পড়েছে।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেও দেখা গেছে, গত বছর করোনার কারণে ওয়াজ মাহফিল না হলেও এবার ঠিকই হচ্ছে। প্রতি বছরের ন্যায় আজও মুসল্লীরা বিকেল থেকে ছুটছেন ওয়াজ মাহফিলে।
গতবার শবেবরাতের সময় এ কবরস্থানে স্থানীয় কিছু মুসল্লিরাই নিজেদের স্বজনদের কবর জিয়ারত করছেন নীরবে দাঁড়িয়ে। তবে এবার সেখানে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। প্রত্যেক মসজিদে মসজিদে ওয়াজ মাহফিল স্বজনদের কবর জিয়ারতে মানুষের আনাগোনা ছিল চুখে পড়ার মত।
এ সময় কথা হয় নুরুল ইসলাম গজনবীর নামের একজনের সাথে। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে গতবার আতঙ্ক ছিলো। তাই ঘর থেকে বের হওয়া নিরাপদ ছিলো না। এবার ঘর থেকে বের হয়ে মসজিদে যাচ্ছি, স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে পারায় অনেক খুশি লাগতেছে।’
সব মিলিয়ে গতবার করোনার কারণে শবেবরাতের চিরচেনা রুপ দেখা না গেলেও এবার ঠিকই আগের মত দেখা যাচ্ছে। মসজিদে গিয়েই জিকির আর ভাব গম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পালন করেছেন ভাগ্যরজনী। সেই সাথে মহামারী করোনার হাত থেকে বিশ্বের মুসলিম উম্মাহের মুক্তি আর সকলের শান্তির প্রার্থনা করেছেন।