ওসমানীনগরের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এখন অসহায়, বিত্তশালীদের সহযোগিতা কামনা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৫৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
উপজেলার ওসমানীনগর উপজেলার জীবন সংগ্রামে হার না মানা পায়ের পাতা হাতের আংগুল হারানো প্রতিবন্ধী মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম(৪০)। একদিন সকাল বেলায় গবাদিপশুর জন্য ঘাস আনতে হঠাৎ করে দেখতে পান হাতের আংগুলে চুলকায় কাজ সেই থেকে তার পা ও হাত পছন ধরে। নেমে আসে তার জীবন এর কালো ছাঁয়া। চিকিৎসা নিয়ে অনেক দিন শরির ভালোই কাটছিলো। কিছু দিন পরে টংসিল
ডাকে মুখের ডানে অপারেশন করতে হয়েছে।
সুঠাম দেহের অধিকারী দেখতে শুনতে ভালোই ছিলেন। অসুস্থ হওয়ার প্রথম দিকে থেকে গ্রামের মানুষ ও আতিও সজন,বিশেষ করে প্রবাসীদের সাহায্যে আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে আছেন। গ্রাম ও প্রবাসীরা বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা দিয়ে চিকিৎসা সহ পরিবার এর খাবার ব্যবস্থা করেছেন। উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের লামা ইসবপুর গ্রামের মৃত ছানা মিয়ার ছেলে মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম । বাবার অভাব অনটনের সংসারে কোনো রকমে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত গ্রামের স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। কৃষি ডিজেল ইন্জিনিয়ারিং কাজ শিখে ভালোই চলছিলো তার। দুই ধাপে পা ও হাতের আঙুল পরের ধাপে মুখের অপারেশন এর ছোবলে সব বন্ধ হয়ে যায়। এখন তার সংসারে স্ত্রী এবং ২ছেলে ১মেয়ে সন্তান রয়েছে। তাকে প্রতিবন্ধী ভাতা করে দেন জনপ্রতিনিধিরা। তিন বেলার খাবার এখন দুই বেলা করে খেয়ে না খেয়ে কোন রকম বেঁচে আছে জাহাঙ্গীর আলম এর পরিবার। শিগগিরিই এ পরিস্থিতি কেটে না গেলে সামনের দিনগুলো তার জন্য ভয়াবহ। প্রতি মাসে ছয় হাজার টাকার ঔষধ খেতে হয়। পরিবার ও নিজের ঔষধ যোগাড় করতে চোখে যেন ঘোর অন্ধকার দেখছেন। চরম অসুবিধায় থাকলেও কাউকে কিছু বলতে পারছেন না।নীরবে-নিভৃতে চাপা স্বরে কাঁদছেন।
গত বছর বর্ষামৌসুমে ঘরের বেতর বিষ্টির পানি বিছানা সহ বেয়েগেছে। এবার আমার কি হবে। সমাজের বিত্তশালী ও দানশীল ব্যক্তি এখন একটি যদি একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা কিনে দিলে পায়ের ওপর ভর করেই চালাতে পারবেন অটোরিক্সা। সমাজের বিত্তশালী ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে আপনারা আর্থিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসুন তার পাশে।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- মোঃজাহাঙ্গীর আলম
পিতা, মৃত মোঃ ছানা মিয়া, লামা ইসবপুর,১নংউমরপুর ইউনিয়ন,
যোগাযোগ ও বিকাশ +৮৮০১৭৪৪৭২৮৯০৫