চৌহাট্টায় সংঘর্ষের ঘটনায় তিন মামলা, আসামি ৩২৮ জন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৩৮ অপরাহ্ণ
সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় পুলিশ-সিসিক ও পরিবহন শ্রমিকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে কোতোয়ালি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে ২টি ও সিসিকের প্রকৌশলী বাদী হয়ে আরও ১টি মামলা দায়ের করেন। পৃথক অভিযোগে দায়েরকৃত ৩ মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩২৮ জনকে। এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে পুলিশ সংঘর্ষকারীদের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তালিকা করার পর পরই কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। তবে অহেতুক কেউ যাতে হয়রানি শিকার না হন সেজন্য পুলিশ ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে সংঘর্ষকারীদের মামলার আসামী করা হয়েছে বলে পুলিশের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন। তবে কোতোয়ালি থানায় এখনও পর্যন্ত পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি।
এদিকে, বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ফয়সল আহমদ ফাহাদকে (৩৮) আসামী করে অস্ত্র আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতারকৃত আহাদকে অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে। বুধবার দুপুরে সংঘর্ষের সময় গ্রেফতারকৃত আহাদ পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে গুলি ছোঁড়ার চেষ্টা চালালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশ তার কাছ থেকে ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
এছাড়া, চৌহাট্টায় সংঘর্ষের সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে উত্তেজিত হয়ে পরিবহন শ্রমিকরা পুলিশের উপর অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মামলা চালায়। এসময় পুলিশের কয়েকজন সদস্য গুরুতর আহত হন। পুলিশের কাজে বাঁধা দান ও হামলার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় এসআই আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে ১৭ জনকে এজহার নামীয় আসামী করে পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে সিটি করপোরেশনের কাজে বাঁধা প্রদান, কাউন্সিলর ও সিসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন সিসিকের উপ সহকারী প্রকৌশলী দেবব্রত দাস। তিনি ১০জনকে এজহার নামীয় আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছেন। এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী। তিনি বলেন, পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও সিসিক বাদী হয়ে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ আসামীদেরকে গ্রেফতার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র: সিলেটভিউ