প্রভাষক জুয়েল হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদীকে আসামীদের হুমকী ও দিতে বাধা
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:০৮:১১,অপরাহ্ন ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
সুরমা নিউজ:
প্রভাষক মোহাম্মদ আবু তৌহিদ জুয়েল হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদী মোহাম্মদ সুয়েবুর রহমানকে আসামীদের হুমকী ও কৃষি জমিতে সেচ দিতে বাধা দেয়ার কারণে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থানার কাকিয়াম (মামুদপুর) গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে, সিলেট মদনমোহন কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ সুয়েবুর রহমান গত ১৪ ফেব্রæয়ারি ধর্মপাশা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। যার নং- ৪৬৫।
জিডি থেকে জানা যায়, প্রভাষক জুয়েল হত্যার আসামীরা হচ্ছেন- (১) বিপ্লব মিয়া(৩৫), (২) আব্দুর রাজ্জাক(৫০), (৩) হিরন মিয়া(৩২) সর্ব পিতা মৃত আব্দুল খালেক, (৪)মৃত আব্দুল খালেক (৭০) পিতা-মৃত আমজাদ আলী, (৫) হেলিম মিয়া(৫০) পিতা-মৃত মনফর আলী, (৬) গাজী শামছুদ্দিন (৬৫) পিতা- মৃত আমজাদ আলী, (৭) খোকন মিয়া(২৮), (৮) ফজলু মিয়া (৪০) উভয় পিতা- মৃত নিয়াজ উদ্দিন সর্বসাং- কাকিয়াম, (৯) বাবলু মিয়া (২২) পিতা- জালি নেওয়াজ সাং- খলাপাড়া, (১০) হাবিবুল(৪২) পিতা-মৃত আব্দুল আজিজ (লুছা মিয়া), (১১) নাঈম(২০) পিতা- হাবিবুল গং উভয় সাং- কাকিয়াম সর্বথানা-ধর্মপাশা, জেলা-সুনামগঞ্জ।
উক্ত আসামীগণ সংঘবদ্ধ হয়ে বিগত ০১/১২/২০১৭ তারিখে মারপিট করে প্রভাষক জুয়েলকে হত্যা করলে বাদী মোহাম্মদ সুয়েবুর রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্মপাশা থানার মামলা নং- ০১/২০১৭ তারিখ ০১/১২/২০১৭ ইং ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩০৭/১১৪/৩০২/৩৪ দ: বি: রুজু হয়।
মামলাাটি পিবিআই সিলেট কর্তৃক তদন্ত শেষে ধর্মপাশা থানার সম্পূরক অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন আছে।
এরপর থেকে হত্যা মামলার আসামীরা মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বাদী ও তার পরিবারবর্গ ও মামলার সাক্ষীদের হত্যা করার ভয় ভীতি হুমকী প্রদর্শন ও আক্রমণের চেষ্টা করে আসছে। গত ০৯/০২/২০২১ তারিখে দুপুর অনুমান ২টায় বাদীর চাষযোগ্য বোরো জমিতে সেচ দিতে গেলে হত্যা মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য আসামী গংদের নিকটআত্মীয় আসামী (১) শাহজাহান (৫২), (২) শফিক (৩৫), (৩) বজলু (৫৮), (৪) সবুজ (৪৭), (৫) সাইদুল (৪২), (৬) রফিক (৩৭) সর্বপিতা-মৃত আব্দুল জব্বার (খেলু), (৭) আসমাউল (২২) পিতা- বজলু, (৮) সজিব (২০) পিতা-সবুজ সর্ব সাং- সরিষাম, থানা- ধর্মপাশা, জেলা- সুনামগঞ্জ গং সেচ দিতে বাধা দেয় এবং পানির মেশিন বন্ধ করে দেয়। তারা হত্যা মামলাটি উঠাইয়া না নিলে জমিতে চাষাবাদ করতে দিবে না। জমিতে সেচ দিতে যারা আসবে তাদেরকে জানে মারিয়া লাশ গুম করা হবে।
জমিতে সেচ দিতে না পারায় পানির অভাবে জমির ধানি ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত বছরও জমি চাষাবাদ করা যায়নি। আসামীদের ভয় ভীতি প্রদর্শনের কারণে জুয়েল হত্যার পর থেকেই বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করে জমিতে চাষাবাদের ব্যাঘাত ঘটায় ও যেটুকু ফসল হয় তাও আসামীরা কেটে নিয়ে যায় এবং এ ধরণের কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে। বিষয়টি বাদী এলাকার গন্যমান্য লোকজনকে পূর্বেও জানিয়েছে এবং এখনও ঘটনার বিস্তারিত জানান। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাহাদের বিরুদ্ধে কেউ বিচার শালীস করিতে সাহস না পাওয়ায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আইনের আশ্রয় লাভের পরামর্শ দেয়ার পর বাদী ধর্মপাশা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। আসামীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।