শ্রীমঙ্গলে ৩ বছর পর ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৩:০৯ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মৃত্যুর প্রায় ৩ বছর পর ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা রাজা মিয়ার মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। সম্পদ নিয়ে ব্যবসায়ীর দুই স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্যে বিরোধের কারণে হত্যা মামলা দায়েরের পর তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য উপজেলার মতিগঞ্জ এলাকার হাইল হাওরে অবস্থিত ‘রাজা ফিশারিজ অ্যান্ড হ্যাচারি কমপ্লেক্সের পারিবারিক কবরস্থান থেকে প্রতিষ্ঠানের সাবেক স্বত্বাধিকারী মৃত মাস্টার গোলাম মোস্তফা রাজা মিয়ার মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা খানম লাশ উত্তোলন কার্যক্রম তদারকি করেন। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলমগীর ও শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এসআই আলমগীর জানান, রাজা মিয়ার ছেলে গোলাম মুরসালিন রাজার একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার জেলার বিজ্ঞ আদালত মৃতদেহ উত্তোলন করে পোস্টমর্টেম করার নির্দেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, রাজা মিয়ার বিপুল সম্পত্তির লোভে দ্বিতীয় স্ত্রী নূরজাহান রানী রাজা মিয়াকে বালিশ চাপা, বিষ প্রয়োগ বা অন্য কোনো উপায়ে হত্যা করতে পারে। এ কারণে মৃতদেহ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করার প্রার্থনা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজা মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। এসময় তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। প্রথম স্ত্রী ও তার ছেলে মেয়ে লন্ডনে বসবাস করেন। রাজা মিয়ার মৃত্যুর পর থেকে দুই স্ত্রীর পক্ষের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে চরম বিরোধ দেখা দেয়।
এক পর্যায়ে গত বছরের ২৬ আগস্ট বাবার এ মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু মেনে না নিয়ে প্রথম পক্ষের ছেলে গোলাম মুরসালিন রাজা তার সৎ মা নূরজাহান বেগমকে প্রধান আসামি ও তার ভাই দেওয়ান আলামিন রাজা, দেওয়ান সেলিম, দেওয়ান জান্নাতুল ফেরদৌস লিখন ও নাছির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।