ব্রিটেনে বেড়েছে অনলাইনে কেনার প্রবনতা, হুমকির মুখে হাইস্ট্রিট শপ এবং শপিংমলগুলো
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫০:৫৫,অপরাহ্ন ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১
মো: রেজাউল করিম মৃধা:
করোনাভাইরস মহামারিতে ঘর বন্ধি জীবন। একের পর এক লক ডাউনের ফলে হাই স্ট্রিট শপ এবং শপিংমল গুলি বন্ধ থাকায় মানুষের প্রয়োজনীয় পোষাক সহ অন্যান্য সামগ্রী অনলাইনে কেনার প্রবনতা বেড়েছে। মানুষ ঘরে বসে অর্ডার দিয়ে নিজের প্রয়োজনীয় দ্রব্য বা জিনিসটি হাতে পেয়ে যাচ্ছেন এ জন্য দিন দিন অন লাইনের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়ে চলছে।
ইতিমধ্যে টেকওয়ে এবং হোমডেলিভারী বেশ জনপ্রিয়তা সমগ্র ব্রিটেন জুড়ে। এই ধরনের অভ্যাসে পরিনতি হলে রেস্টুরেন্ট ব্যাবসায় ও হুমকির মুখে পরতে পারে।বাসায় বসে বসে খেয়ে অভ্যাস হলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়ার অভ্যাস আসতে অনেকটা সময় লাগতে পারে।
অনলাইনে ব্যাবসায় সবার চেয়ে এগিয়ে আছে আমাজন।আমাজন একাই শতকরা ৫১% পারসেন্ট ব্যাবসা করছে।বৎসরে £১৯.৪ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যাবসায়ী ট্রান অভার।২০১০ সালে £২৩ বিলিয়ন পাউন্ড ইন্ভেস্ট করে ব্যাবসা শুরু করে ব্যাবসায়ে সাফল্যের মুখ দেখতেছে। সৃস্টি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মসংস্হান । গত বছর এই করোনা মহামারিতে যেখানে বিভিন্ন কম্পানী শ্রমিক ছাঁটাই হচ্ছে সেই খানে আমাজন ১০ হাজার নতুন শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে। গত সপ্তাহে ও নতুন করে ১ হাজার শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে।
আমাজন ইন্ডিপেন্ডেট এবং নিজস্ব কুয়ালিটি ধরে রেখে এবং সময় মত সার্ভিস দিয়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। বর্তমানে ১৮০ দেশে আমাজন তাদের পন্য বা দ্রব্য গ্রাহকদের হাতে পৌছে দিচ্ছে।
আমাজন ছাড়াও আসোস, ওয়াকাদো এবং সর্বশেষ টেস্কো বৃহত আকারে অন লাইন ব্যাবসা প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।এছাড়া বহু ছোট্ট ছোট্ট অনলাইন ব্যাবসা করে বেশ লাভোবান হচ্ছে।
ব্রিটিশ চ্যান্চেলর ঋশি সুনাক বলেন,” করোনাভাইরস মহামারির কারনে লক ডাউন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ব্যাবসায়ীদের সুবিধার্থে সরকার বিলিয়ন পাউন্ড বাউন্স ব্যাক লোন, শ্রমিকদের বেতনের শতকরা ৮০% পারসেন্ট ফার্লো দিচ্ছে সরকার। সরকার চাচ্ছে ব্যাবসায়ীরা আবারো সুন্দর ভাবে ফিরে আসবে। ব্যাবসায়ারা ঠিকে থাকলে অর্থনৈতিক চাকা স্বচল হবে,”।
ট্রেজারির স্পোকপ্যারসন বলেন,”সিফট দি ব্যালেন্স” করোনাভাইরস মহামারির সময় ভালো ব্যাবসা করছে। তার মানে এই নয় যে যখন লক ডাউন তুলে নেওয়া হবে এবং হাই স্ট্রিট শপ বা শপিংমল গুলি খুলে দেওয়া হলে তখন কার অবস্থার উপর নির্ভর করে কমিউনিটির ইম্পের্ট ও পরবর্তী পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সরকার সিদ্ধান্ত নিবে।
প্রপার্টি আলটাস গ্রুপ ইউকের প্রেসিডেন্ট রবের্ট হায়টন বলেন,” আমরা রিটেইল শপ বা হাই স্ট্রিট শপ এবং শপিংমল গুলি অনেক ট্যাক্স সরকারকে দিয়ে থাকি অথচ সামান্য ট্যাক্স দিয়ে অন লাইন ব্যাবসায়ীরা অনেক বেশী ব্যাবসায় লাভ করছে। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে,”।
অনলাইন ব্যাবসা যে ভাবে ব্যাবসা করছে তাতে হাই স্ট্রিট শপ ও শপিংমল গুলির ব্যাবসা হুমকির মুখে পরতে পারে।