তিলোত্তমা নগরী গড়তে ব্যস্ত সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট নগরকে সৌন্দর্য করতে জীবন যুদ্ধে নেমেছেন। নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে এখন দিনরাত মাঠে ময়দানে ব্যস্ত রয়েছেন। এদিকে কয়েকদিন আগে শতবাধা উপেক্ষা করে সিলেটের ফুটপাত কে শতভাগ হকার মুক্ত করার ঘোষনা দিয়েছিলেন। সেটি এখন বাস্তবে রূপান্তর। আর সেজন্য সিলেট নগরবাসীর মেয়রের প্রশংসা করছে।
সচেতনমহল বলছে সিলেটের ইতিহাসের প্রথম নজির স্থাপন করছেন মেয়র আরিফ। তাই আরিফ মানে উন্নয়ন, আরিফ মানে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ! সুতারাং এই যখন বাস্তবতা তখন সসিকের মেয়র আরিফ বলেন ‘নগরকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে হলে নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। সিলেট কে তিলোত্তমা নগরী গড়তে হলে মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। পরিকল্পনা ছাড়া নগর উন্নয়ন সম্ভব নয়। এখনও অপরিকল্পিতভাবে অনেকে অনেক কিছু করছেন।’
সিটি মেয়র বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের কারণে খুলনার উন্নয়ন কিছুটা থমকে ছিল। জলাবদ্ধতা নিরসনে চেষ্টা চলছে। ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে। তবুও অনেকে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা না ফেলে ড্রেনে ফেলছেন। এ কারণে নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।’ নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার জন্য নগরবসীর প্রতি অনুরোধ করেন সিটি মেয়র।
এদিকে সিলেট নগরের নিষিদ্ধ সড়কগুলোতে আবার হকারেরা উঁকিঝুঁকি মারছে। তাদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ করার পরও ব্যস্ত রাস্তায় পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা গেছে। সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখাযায়। নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা পূর্ব জিন্দাবাজার, জল্লারপার সড়কে হকারের আনাগোনা দেখা যায়।
সিলেট শহরকে তিলোত্তমা নগর গড়তে তারের ঝঞ্ঝাট সরিয়ে ফেলা হয়। মাটির নিচ নিয়ে নেয়া হয় বিদ্যুতের তার। যাজট কমাতে বন্ধ করা হয় নগরের কয়েক রাস্তার ভ্যান, রিকশা, লেগুনা চলাচল। চালাচলের সুবিধার্থে ফুটপাতও হকারমুক্ত করা হয়। হকারদের জন্য সিটি মার্কেটে স্থান বরাদ্দ করা হয়। ফলে সিলেটের বন্দরবাজার থেকে চৌহাট্টা ও পূর্ব জিন্দাবাজার, জল্লারপার আশিংক রাস্তা পরিচ্ছন্ন হয়ে ওঠে।
জানুয়ারি মাস থেকে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) এসব রাস্তার হকার উচ্ছেদসহ রিকশা, ভ্যান, লেগুনা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে নগরের রাস্তাগুলো নান্দনিক হয়ে ওঠে। পর্যটকরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে সৌন্দর্য উপভোগসহ নিজেদের ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন। কিন্তু সম্প্রতি এই রাস্তাগুলোতে আবার বিচ্ছিন্নভাবে রিকশা, ভ্যান চলতে দেখা যায়। হকারেরাও ফাঁক খোঁজে পসরা নিয়ে বসছেন।
অভিযোগ রয়েছে নির্দিষ্ট এ রাস্তাগুলোকে রিকশা, ভ্যান, লেগুনামুক্ত রাখতে ও হকার যাতে পসরা নিয়ে বসতে না পারে সে জন্য নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেয় সিসিক। এসব নিরাপত্তাকর্মীরা টাকার লোভে নিষিদ্ধ রাস্তার ফুটপাতে হকার বসার সুযোগ করে দিচ্ছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে সিলেট নগরবাসীর কাছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে কেহ কেহ বলছেন,হকারের কাজই হল রাস্তায় বসে যানজট এবং পথিকের পথ চলতে বাধা সৃষ্টি করা।
আবার হকাররা বলছেন ঘরে খানি নেই? নতুন জায়গায় ব্যবসা নেই। ঘর ভাড়া বাড়ছে,পরিবার চালানো যাচ্ছে না? এর মাঝে,বাচ্ছাদের লেখাপড়ার খরচ নিজেদের খাবার সংগ্রহসহ আরো কতকিছু কি আর আমরা।