সিলেটে পুতুলের মৃত্যু নিয়ে রহস্য : ডোবায় পাওয়া মরদেহ পুরুষের
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
স্ত্রী পুতুল বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করলেন স্বামী। মরদেহ মিললো ডোবায়। শনাক্ত করলো পরিবার। তবে ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা গেলো মরদেহটি একজন পুরুষের। সিলেটে এক হত্যা মামলায় ঘটেছে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা। তাহলে নিহত পুতুল বেগমের মরদেহ কোথায়?
সিনেমার গল্পের মত মোড়ে মোড়ে উত্তেজনা, বার বার পাল্টে যায় দৃশ্যপট। সিলেটের জৈন্তাপুরের পুতুল বেগম হত্যা মামলার জট যেন কিছুতেই খুলছে না।
স্বামী দোলনের সাথে দাম্পত্য কলহ চলছিল পুতুলের। ২০১৫ সালের অক্টোবরে স্ত্রীকে ফোনে ডেকে নিয়ে যান দোলন। ১১ দিন পর পুতুলের মরদেহ মেলে এক ডোবার পাশে। মরদেহ শনাক্ত করে তার পরিবার। মামলা হয়, ১৪ দিন পর স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন স্বামী দোলন।
এ পর্যন্ত সব ঠিকই আছে। মামলার মোড় ঘুরে যায় মরদেহের ডিএনএ রিপোর্ট আসার পর। জানা যায় মরদেহটি একজন পুরুষের। আদালত বিষয়টি খতিয়ে দেখার আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানায়, তালগোল পাকিয়েছে সিলেটের ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা কোন ভুল করেনি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শিশির মনির বলেন,ওসমানি মেডিকেল কলেজের এক্সপার্টরা ডিএনএ টেস্ট করে বলেছেন এটি নারীর লাশ নয় এটি একটি পুরুষের লাশ। বাবা এবং মায়ের ডিএনএ প্রোফাইলের সঙ্গে তার কোন মিল নেই।’
এবার ৫ বছর ধরে জেলে থাকা স্বামী জামিন চান উচ্চ আদালতে। সব শুনে দোলনকে জামিন না দিয়ে, অধঃস্তন আদালতকে মামলাটি ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারের সারোয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, ‘স্বামী স্বীকার করে সে তার স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর তাকে এক পর্যায়ে হত্যা করে। তারপর মাথায় পাথর দিয়ে তিনটা আঘাত করে। তারপর এই মৃতদেহটা পাহাড়ের নিচে টিলায় ফেলে রাখে।’
স্ত্রী অস্বাভাবিকভাবে মারা গেলে, দেশের আইনে স্বামীকেই প্রমাণ করতে হয় তিনি খুন করেননি। কিন্তু এ মামলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, ফোন রেকর্ড ও ভুল ডিএনএ রিপোর্টের ঘটনায় মামলাটি কোন দিকে মোড় নেয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।সময় নিউজ