সিলেটে সস্তা সবজি-পেঁয়াজ, ঊর্ধ্বমুখী তেলের দাম
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সবজির মৌসুম হওয়ায় সিলেটের বাজারে সবজির দাম কমেছে। একই সাথে পেঁয়াজ ও আলুর দামও কমেছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার গত সপ্তাহের তুলনায় মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। আমন মৌসুমে চালের চড়া দাম ও ভোজ্যতেলের দর বৃদ্ধি পেয়েছে আরেক দফা।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে চালের দাম কেজি প্রতি ২-৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাল আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর ঘোষণার পর দাম কমার কথা থাকলেও উল্টো বাড়তির দিকে। তবে শীতের সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লাউ, লালশাক, ধনিয়াপাতা, মুলা ও শালগমের সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কমেছে।
অধিকাংশ সবজি এখন নাগালের মধ্যে থাকায় ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে এখনো মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে পাকা শিমের বিচির দাম। প্রতি কেজি শিমের বিচি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়।
সিলেটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরাতন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭-১৯ টাকায়। গত এক সপ্তাহ ধরে আলুর গাড়ি বেশি আসায় নতুন আলুর সরবরাহ বেড়েছে। আর বাজারে এখন নতুন আলুর চাহিদা বেশি। দামও কম। নতুন আলু বন্দর বাজার, রিকাবী বাজার, মদিনা মার্কেট, সোবহানীঘাটে বিক্রি হচ্ছে ১৪-১৫ টাকা কেজি দরে।
এদিকে পেঁয়াজের সর্বোচ্চ দাম কেজি প্রতি ভারতীয় ৩৫-৪০ টাকার মধ্যে আছে। আর চীনা পেঁয়াজ সর্বনিম্ন ১৮-২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আর নগরের কালীঘাটে পাইকারি আড়তেই চায়নিজ পেঁয়াজ সর্বনিম্ন ১৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ২৫-২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা খোলা বাজারে ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে চীনা পেঁয়াজ ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কালীঘাটের পেঁয়াজের আড়তের ব্যবসায়ী নিলাঞ্জন দাস টুকু বলেন, কয়েক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেশ কমেছে। এখন চায়না পেঁয়াজ ভালো মানের ১৮ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা পাঁচ দিন আগেও ২৫ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। আর দেশি পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকা, যা আগে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও তুর্কি পেঁয়াজ ২২-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতো শিম বিক্রি হচ্ছে ১৫-২৫ টাকায়। জাতের ওপর ভিত্তি করে আবার ২০-২৫ টাকা দামের শিমও আছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। মুলা পাওয়া যাচ্ছে ১০-১৫ টাকা কেজিতে । ৩০-৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বড় আকারের লাউ। বেগুনের কেজি ২৫-৩০ টাকা।
বেশিরভাগ সবজির দাম কমলেও এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শিমের বিচি। শিমের বিচির কেজি গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়।
নগরের শেখ ঘাট ও কাজিরবাজারে পাইকারি চালের ব্যবসায়ী শাহিন আহমদ জানান, সরু মিনিকেট চাল ৬০ টাকায়, নাজিরশাইল ৬১-৬২ টাকায় আর ভালো মানের বিআর-২৮ চাল ৫২-৫৩ টাকা দরে বিক্রি হয়।
খুচরা বাজারে চালের দাম আরও বেশি। খুচরা দোকান থেকে মানুষকে সরু মিনিকেট চাল ৬৪-৬৫ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। আর ভালো মানের বিআর-২৮ চাল বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৫৫-৫৬ টাকা দরে।
এদিকে চালের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে তেল এক লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১০৮-১০৯ টাকায়, আর এক লিটারের বোতলজাত তেল বিক্রি হয় ১২০-১২৫ টাকায়, যা গেল সপ্তাহে পাঁচ টাকা কম ছিল। আর খোলা পাম তেলের দাম ৯৫-৯৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা গেল সপ্তাহে ৯৩-৯৫ টাকা ছিল।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোম্পানিগুলো তেলের দাম আগেই বাড়িয়েছিল। সেই দাম নতুন বছরে বাজারে প্রভাব ফেলেছে। তেলের দাম কমতে আরও মাস খানেক সময় লাগতে পারে বলে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা। চাল-তেল ছাড়া নতুন বছরে অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার আগের সপ্তাহের তুলনায় মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে।