শ্রীমঙ্গলে ইউপি সদস্যের উপর জুতা ছুড়ে মারলো মহিলা ইউপি সদস্য
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:২৬:৪৯,অপরাহ্ন ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মিনারা বেগম নামে ইউপি সদস্যের সাথে নিয়াজ ইকবাল মাসুদ ইউপি সদস্যের মধ্যে ভিজিএফ চাল নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়। এর জেড় ধরে মারামারি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ইউপি সদস্য নিয়াজ ইকবাল মাসুদ মহিলা ইউপি সদস্য মিনারা বেগমে মারার জন্য ধাপিয়ে আসলে মিনারা বেগম পায়ের জুতা খুলে তার উপর ঢিল মারে।
এতে মাসুক মিয়া আরও উত্তেজিত হয়ে যায় পরে উপস্থিত অন্যান্যরা তাদেরকে আটকে রেখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্ঠা করে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের লইয়ারকুল এলাকার বাসিন্দা সমিতা বেগম, রুসনা বেগম ইউপি সদস্য মিনারা বেগমে মোবাইল ফোনে অভিযোগ করে বলেন, ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার নিয়াজ ইকবাল মাসুদ শিল ও স্বাক্ষর যে কার্ডে থাকবে তারাই শুধু ভিজিএফ চাল পাবে আর ইউপি সদস্য মিনারা বেগমের শিল ও স্বাক্ষর সবগুলা বাতিল হয়ে যাবে। এমন অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদক জানার পর মহিলা সদস্য মিনারা বেগমকে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে ডেকে নিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় চেয়ারম্যান ও উপস্থিত অন্যান্য ওয়ার্ডের মেম্বারের সামনে নিয়াজ ইকবাল মাসুদ নামে বেশ কয়েকটি অভিযোগ তুলে ধরে ধরেন মিনারা বেগম।
মিনারা বেগম জানান, চেয়ারম্যান অফিসে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সময় ইউপি সদস্য নিয়াজ ইকবাল মাসুদ তার দলবল নিয়ে হামলা চালতে আসে, এসময় তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এক পর্যায়ে তার উপর আক্রমনের উদ্দেশে এগিয়ে আসলে নিজেকে রক্ষা করতে পায়ের জুতা খুলে মাসুক মিয়ার উপর ছুড়ে মারেন।
মিনারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ইউপি সদস্য নিয়াজ ইকবাল মাসুদ বিভিন্নভাবে তিনি আমাকে বিভিন্ন জাগায় মানহানিকর কথাবার্তা বলে আমার মান ক্ষুণ্ণ করে। এলাকার লোকজন আমাকে ভালোবাসে আর আমার জনপ্রিয়তা বেশি তাই তিনি এলাকায় আমার নামে বাজে মন্তব্য করে বেড়ায় আমাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে বেড়ান তিনি। আমি যেসব গরীব ও অসহায়দের ভিজিএফ চাল দিতে সুপারিশ করি তিনি আমারগুলা বাদ দিয়ে ওনার পরিবারের সদস্য কেউ বা আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে কাউকে দিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে নিয়াজ ইকবাল মাসুদ ইউপি সদস্য তিনি আমার বিরুদ্ধে অশ্লীল কথাবার্তা, অগ্রহণযোগ্য কথাবার্তা এলাকায় বলেছেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট, তার এসব কর্মকাণ্ড যদি চলতে থাকে তাহলে আগামীতে জনগণের সেবায় যদি নির্বাচনে তাহলে আমার জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠবে। আমকে নিয়ে মানুষের ভুল ধারণা সৃষ্টি হবে।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য নিয়াজ ইকবাল মাসুদ এঘটনা অস্বীকার করে বলেন মহিলা ইউপি সদস্য মিনারা বেগমের সাথে এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।
ভুনবীর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রশীদ বলেন, ভিজিএফ চাল নিয়ে ইউপি সদস্য মিনারা বেগম ও মাসুদের সাথে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। এসময় আমরা বেশ কয়েকজন তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করি। আমি বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য তাদের দু’জনের কাছে প্রস্তাব করেছি তারা যদি রাজি হয় তাহলে ইউনিয়ন অফিসে বসে বিষয়টি সমাধান করবো।