হাসান মার্কেট-সিটি সুপার মার্কেট নিয়ে হবে অত্যাধুনিক ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’: থাকবে যে সকল সুবিধা…
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জানুয়ারি ২০২১, ৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
সিলেট নগরীর বন্দরবাজার হাসান মার্কেট ও লালদীঘিরপাড় ঘিরে ১৫ একর জমির ওপর ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’ স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সিলেটকে একটি পরিচ্ছন্ন ও দৃষ্টিনন্দন নগর হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তাঁরা। হাসান মার্কেট ও লালদীঘিরপাড় ঘিরে অত্যাধুনিক এই কমপ্লেক্সে থাকবে বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সিসিক আয়োজিত ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এই পরিকল্পনার বিষয়টি তুলে ধরেন সিসিক মেয়র।
জানা গেছে, ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’ নির্মাণে নকশা প্রণয়নের কাজ করেছে ট্রায়াঙ্গল কনসালট্যান্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’ বিষয়ক নানা তথ্য স্ত্রিরচিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় উপস্থাপন করেন স্থপতি শাকুর মজিদ।
এতে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স হবে প্রায় ১৫ একর জায়গাজুড়ে। হাসান মার্কেট ও লালদিঘী সিটি সুপার মার্কেটের জায়গায় এই কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে। এখানে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা থাকবে। রাখা হবে দৃষ্টিনন্দন নাগরিক চত্বর।
কমপ্লেক্সের মধ্যে থাকবে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’। যেখানে ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতীকী উপস্থাপনা থাকবে বলেও জানান তিনি।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে আঙুল উঁচিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, তাঁর সেই উঁচু অঙ্গুলির আদলে এই কমপ্লেক্সে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। থাকবে ‘বঙ্গবন্ধু প্লাজা’। যেখানে সিনেপ্লেক্স, অডিটোরিয়াম, ১ হাজার আসনের কনভেনশন হল, মুক্তিযুদ্ধের দালিলিক স্মারক সংগ্রহশালাও রাখা হবে।
কমপ্লেক্সে থাকবে খোলা পার্ক, বইমেলা বা কুঠিরশিল্প মেলা করার জন্য ৩৪২টি স্টল বসানোর সুবিধা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার জন্য উন্মুক্ত মঞ্চ রাখা হবে।
হাসান মার্কেট ও লালদিঘী সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য ৬ তলাবিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণ করা হবে। ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সে’র ল্যাম্পপোস্টগুলো হবে সিলেটের ঐতিহ্য দুটি পাতা-একটি কুঁড়ির আদলে।
শাকুর মজিদ জানান, প্রকল্পটির পুরো নকশা সিসিকে জমা করা হয়েছে। বর্তমানে এটি সরকারি পর্যায়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ।