পৌর নির্বাচনে সিলেটে আলোচনায় বিদ্রোহীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ জানুয়ারি ২০২১, ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
শনিবার সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও জকিগঞ্জ পৌরসভায় ভোট। গতকাল প্রচার-প্রচারণা শেষ করেছেন প্রার্থীরা। এখন চলছে হিসাবনিকাশ। এই হিসেবে এবার সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিদ্রোহী প্রার্থীরা। তারা শেষ মুহূর্তে ভোটের সমীকরণে এগিয়ে যাচ্ছেন। গোলাপগঞ্জ ও জকিগঞ্জ দুটি পৌরসভার নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রস্তুতি নিয়েছেন প্রশাসন। পুলিশ সুপার ফরিদউদ্দিন আহমদ বুধবার এ দুটি পৌরসভা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। গোলাপগঞ্জে এবার নৌকার প্রার্থী নতুন মুখ রুহেল আহমদ।
বিএনপি’র প্রার্থী পুরাতন মুখ গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহীন। দু’জনের পক্ষে দলীয় নেতারা একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন। কিন্তু এই দু’জন ছাড়াও আলোচনায় এসেছেন বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাবেল ও সাবেক মেয়র, উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা জাকারিয়া আহমদ পাপলু। ইতিমধ্যে প্রার্থীরা ভোটের মাঠে তাদের শোডাউন শেষ করেছেন। রাবেল ও পাপলু এবারের নির্বাচনে মরণ কামড় দিয়েছেন। দু’জনের জন্য এই নির্বাচন হচ্ছে অস্তিত্বের লড়াই। কারণ- পাপলু বিগত দুই টার্ম নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে হেরেছিলেন। এবারো তিনি নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু পাননি। ভোটাররা জানিয়েছেন, পাপলুর পক্ষে এবার সব মতের মানুষজন ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। বর্তমান মেয়র রাবেলও রয়েছেন শক্তিশালী অবস্থানে। পাপলুর মতো তার নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। এই ভোট ব্যাংকের উপর দাঁড়িয়ে তিনি ফের মেয়র হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে, এ পৌরসভায় এখনো বিএনপি’র তরফ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিএনপি’র প্রার্থী শাহীন গতকাল দুপুরে তার শেষ নির্বাচনী জনসভা করেছেন। এতে সিলেটের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীম জানিয়েছেন, ভোটের পরিবেশ এখনো ভালো। তবে শেষ মুহূর্তে কী হয়, জানি না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ধানের শীষের প্রার্থীর জয় হবে।
এদিকে, গোলাপগঞ্জের মতো জকিগঞ্জের অবস্থাও প্রায় একই। আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আহাদ মিয়া। তিনি জকিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। ভোটে প্রার্থী হওয়ায় বহিষ্কৃত হয়েছেন। আহাদ মিয়া সাবেক পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা সোনা উল্লার ছেলে। ফলে ভোটের মাঠে তার নাম আলোচনায় এসেছে। সঙ্গে আলোচিত হচ্ছেন আল ইসলাহ’র প্রার্থী মাওলানা হিফজুর রহমান। জকিগঞ্জে আল ইসলাহ’র বড় প্রভাব রয়েছে। ফুলতলী পীরের সমর্থকদের সংখ্যা বেশি। ফলে আল ইসলাহ’র নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে এই পৌরসভায়। নিজস্ব ভোট ব্যাংকের কারণে শুরু থেকেই শক্তিশালী প্রার্থী হিফজুর রহমান। আর পিতার কারণে জকিগঞ্জে শক্তিশালী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আহাদ মিয়া। বিএনপি’র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তিনিও সাবেক মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান। কিন্তু বিএনপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় এবার তার অবস্থান আর আগের মতো শক্তিশালী নয়। বিদ্রোহী প্রার্থীকে দমিয়ে ভোটের আগে চমক দেখাতে চায় বিএনপি। এই প্রক্রিয়া এখন চলছে। জকিগঞ্জের মেয়র প্রার্থীরা বুধবারই তাদের নির্বাচনী সমাবেশ শেষ করেছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জকিগঞ্জের ৮ নং ওয়ার্ডের দিকে নজর থাকবে সবার। এ ওয়ার্ডের ভোট নিয়ে আগে থেকেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে।