ভিপি শামীম, রাজনীতির একটি আদর্শ
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৬:৫১,অপরাহ্ন ১৯ জানুয়ারি ২০২১
162 - 162Shares
মাসুদ আহমদ:
একজন ভিপি শামীম ভাই রাজনৈতিক এ চরম দূবৃত্তায়নের সময় একটি আলোকবর্তিতা। যখন ভালো মানুষ রা রাজনীতি থেকে মূখ ফিরিয়ে নিয়েছে, যখন হাইব্রিড কাউয়া তৈলবাজ আর ধান্ধাবাজদের ভীড়ে সৎ,ত্যাগী আর যোগ্য রাজনৈতিক কর্মিদের রাজনীতিতে ঠিকে থাকাটাই জঠিল হয়ে উঠেছে, যখন রাজনীতি মানে অসৎ পথে টাকা কামানো, গুন্ডা পান্ডা লালন আর ক্ষমতার দাপট দেখানোই কে মনে করে, ঠিক তখন একজন সাদা মনের মানুষ নির্লোভ নিরহংকার শামীম ভাই শুধু রাজনৈতিক কর্মিদের জন্যই নয় বরং গোটা রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই আশির্বাদ।
ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়েই শামীম ভাইয়ের রাজনীতিতে পদার্পন।ছাত্রলীগ ও ছাত্ররাজনীতির চরম দুঃসময়ে ছাত্রসমাজের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তাজপুর ডিগ্রি কলেজের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই থেকেই তাকে সবাই ভিপি শামীম হিসেবে চিনে। ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষ করে যোগ দিয়েছিলেন যুবলীগের রাজনীতিতে। সেই ধারাবাহিকতায় হয়েছিলেন তৎকালীন বালাগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক।তারপর জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি। ওয়ান ইলেভেনে রাজনীতির ভাগ্যাকাশে যখন কালোমেঘের ঘনঘটা, নেতানেত্রীরা যখন ভয়ে টটস্থ, যখন প্রাণপ্রিয় নেত্রী জেলে তখন উল্টো স্রোতের হালধরা নাবিকের মত সভাপতির অবর্তমানে দল ও নেত্রীর মমতায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব কাদে তুলে নিয়েছিলেন।
সত্য কি মিথ্যা জানি না, শুনেছি সেদিন নাকি অনেক সহ সভাপতিই ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ভিপি শামীম ভাই জীবনের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুবলীগ ও নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছিলেন। আওয়ামী লীগ ও নেত্রীর জন্য আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে ছিলেন। করবেন ই না কেন। তার রক্তে তো আওয়ামী লীগের রক্তকনিকা বিদ্যমান। স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে তার পরিবারের অসামান্য অবধান। তার বড়ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন আহমদ ভাই ছিলেন একসময়ের বৃহত্তর বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধা সংসদের দীর্ঘদিনের কমান্ডার।
জনগণ যাকে ভালোবেসে চারবার সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে। বর্তমানে যিনি জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক। চলার জীবনে ভিপি শামীম ভাই পেয়েছেন একজন গর্বিত সহধর্মিণী জনাবা সুষমা সুলতানা রুহি ভাবি কে। রুহি ভাবির বাবা ছিলেন একজন সৎ আদর্শবান রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ত্ব। যার নাম কমরেড আজহার আলী যিনি তাজপুর ডিগ্রি কলেজের ভূমিদাতা।
রুহি ভাবি বর্তমানে জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনে ভিপি শামীম ভাই খুব সাধারণ জীবন যাপন করেন। একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হয়েও তার মাঝে কোন অহমিকা দেখা যায় না। তাকে হঠাৎ কেউ দেখলে বুজতেই পারবে না যে তিনি শামীম ভাই। বিনয় আর ভদ্রতায় সবাইকে ছাপিয়ে সত্যিই তিনি অসাধারণ।
ক্ষমতাসীন যুবসংগঠনের জেলা সভাপতি হয়েও ক্ষমতার দাপট তার মাঝে নেই। অনেক বড় বড় লোভনীয় পদ পদবি কোটি কোটি টাকা তার পদতলে গড়াগড়ি করলেও এদিকে তার বিন্দুমাত্র কর্ণপাত নেই। অথচ তার অবস্থান থেকেই তিনি হয়তো কষ্ট করে চলেন। চাইলেই শামীম ভাই কত ভোগ বিলাস আর শান শওকতের জীবন যাপন করতে পারতেন। তার জায়গায় অন্য কেউ হলে কিনা হত, কল্পনাই করা যায় না।
অনেক পাতিনেতাদেরও দেখেছি রাজনীতির নাম ভাঙ্গিয়ে চুরি চামারি করে অবৈধ পথে টাকা পয়সা কামিয়ে এখন হিরো আলমের মত ভাব নেন। চলনে বলনে মনে হয় পা মাটিতে নেই। অন্যদের থেকে শামীম ভাইয়ের পার্থক্য এখানেই। শামীম ভাই এতটাই আকাশচুম্বী বিশাল ব্যক্তিত্বের অধিকারী যে অনেক প্রভাবশালী নেতাদেরও দেখেছি উনার প্রতি ভক্তি আর শ্রদ্ধায় অবনত হতে। শামীম ভাই হাজারো আদর্শিক যুব জনতার আইডল। শামীম ভাই ডাক দিলে হাজারো তরুণ যুবা ঘর থেকে বেরিয়ে আসবে, শামীম ভাই ইশারা করলে সিলেট অচল হতে বাধ্য। সেই তিনি একজন মাটির মানুষ। বিশ্বাসই করা যায় না। তিনি সমকালীন রাজনীতির একটি আদর্শ, একটি ইতিহাস।
তাকে নিয়ে এসব লিখার কোন উদ্দেশ্য নেই,চাওয়া পাওয়া পদপদবীর কোন লোভ থেকেও নয়। বর্তমান সময়ের পদপদবী থেকে যুবলীগ শামীম ভাইয়ের তৃতীয় কিংবা চতুর্থ শ্রেনীর একজন ক্ষুদ্র ও নগন্য কর্মি, এই পরিচয়টুকু অনেক গৌরবের বলে মনে করি। এসব লিখলে শামীম ভাই এর যায় ও না, আসে ও না। বাড়েও না কমেও না। শুধুমাত্র সামান্য কিছু বাস্তব সত্য তুলে ধরলাম। যদি ও এই সামান্য সত্যের অনেক উপরে শামীম ভাই এর অবস্থান। উনার নিজের প্রয়োজনে নয় বরং নেত্রী ও দলের স্বার্থে, দেশ ও সমাজের স্বার্থে, অভাগা, কোনটাসা পোড়খাওয়া নেতা কর্মিদের স্বার্থে তিনি তার স্বমহিমায় এগিয়ে যাবেন। রাজনৈতিক পরিমন্ডলের স্বর্ণশিখরে আরোহন করবেন, এই অপেক্ষা ও প্রত্যাশা করি।
লেখক
জৈন্তাপুর উপজেলা যুবলীগ
162 - 162Shares