কুলাউড়ায় ৪টি ভোট কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, বিএনপি মেয়র প্রার্থীর উপর হামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৫৫:১৩,অপরাহ্ন ১৬ জানুয়ারি ২০২১
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ত্রিমুখী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়াও আরও ৩টি কেন্দ্রের বাইরে দুই গ্রুফের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এরফলে প্রায় ঘন্টা খানেক ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে। বড় ধনের কোন বিশৃঙ্খলা ছাড়াই অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। তবে এবারের ভোটে পূরুষের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, কুলাউড়া পৌরসভার ৯টি ভোট কেন্দ্রে পূরুষের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিলো লক্ষনীয়। ২নং ওয়ার্ডের পৌর বালিকা বিদ্যালয়, ৭নং ওয়ার্ডের আমির ছলফু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫নং ওয়ার্ডের কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিলো সবচেয়ে বেশি। এদিকে দুপুর ১টার দিকে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এরপর এ ঘটনায় যুক্ত হন একজন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরাও। এ ঘটনায় ঘন্টাখানেক ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে। তাৎক্ষনিক বিএনপি সমর্থকরা সেন্টারের সামনে কুলাউড়া-মৌলভীবাজার সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় বিএনপি মেয়র প্রার্থী কামাল উদ্দিন জুনেদ আহত হয়েছেন বলে তাঁর দলীয় নেতাকর্মীরা জানান। বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের লাঠিচার্জ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপি মেয়র প্রার্থী কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ বুকে ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন। আহতাবস্থায় তাকে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের শিবির এলাকা, ৯নং ওয়ার্ডের লস্করপুর, ৪নং ওয়ার্ডের মাগুরা এলাকায় বিভিন্ন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন সবুর লোকজন তার বাড়িতে এসে হামলা করে তার স্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে আহত করেছে।
বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মহিউদ্দিন আহমদ ভূঁইয়া জানান, ঘন্টাখানেক ভোট বন্ধ থাকলেও ফের ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টির আগেই অধিকাংশ গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মল্লিকা দে জানান, উত্তেজনাকর মুহূর্তে কেউ অবৈধভাবে ভোট দিয়ে থাকলে সেগুলো বাতিল করা হবে।