ওসমানীনগরে সেতুতে নেই সড়ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:২৩:৪৭,অপরাহ্ন ১৫ জানুয়ারি ২০২১
সুরমা নিউজ:
সিলেটের ওসমানীনগরে জনসাধারণের চলাচলের জন্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে কালনী নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা হলেও শুধু সংযোগের অভাবে সুফলের পরিবর্তে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তিন উপজেলার ৮ গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দাকে। গত দেড় যুগ ধরে সংযোগ সড়ক স্থাপনের দাবি জানিয়ে এলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংযোগ সড়ক স্থাপনের মাধ্যমে সেতুটি জনসাধারণের ব্যবহার উপযোগী করে তোলার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর, সুরিকোণা, দক্ষিণ কালনীরচর, চর তাজপুর, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর, মাধবপুর, মথুরাপুর এবং সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আটঘর গ্রামবাসীর যোগাযোগের একমাত্র সড়ক কালনিরচর-শেরপুর সড়ক। ইসলামপুর এলাকায় কালনী নদী সড়কটিকে ব্যবচ্ছেদ করেছে। ওই এলাকায় নৌকাযোগে নদী পাড়ি দিতে হয় জনসাধারণকে।
এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে তৎকালীন সংসদ সদস্য এম. ইলিয়াস আলীর উদ্যোগে ২০০১ সালে কালনী নদীর উপর প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কাজে অনিয়মের কারণে ১ বছরের মধ্যেই সেতুর দুইপাশের সংযোগ সড়কের মাটি দেবে যায়। এরপর থেকে সেতু থাকা সত্ত্বেও শুধু সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুটি ব্যবহার করতে পারছেন না মানুষ। নিজস্ব উদ্যোগে কখনও বাশের সাাঁকো দিয়ে, সংযোগ আবার কখনও সেতুর পাশে সাঁকো তৈরি করে নদী পারাপার হচ্ছেন এলাকাবাসী। একাধিকবার তারা সংযোগ সড়ক স্থাপনের দাবি জানালেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সোনা মিয়া গাজি জানান, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও কাজের অনিয়মের কারণে মাটি দেবে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সেতুটি। সেতুর সংযোগ না থাকায় অনেক মুমূর্ষু রোগীকে সময়মতো হাসপাতালে নিতে না পারায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। গতবছর বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে এক শিশু ও মুমূর্ষু অবস্থায় সাঁকো পেরোতে না পেরে একজন গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হয়।
সাদীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এ রাস্তা দিয়ে তিন উপজেলার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। কিন্তু সেতুটি নির্মাণের পর রাস্তা দেবে যাওয়ায় স্থানীয়রা এটি ব্যবহার করতে পারছেন না। দ্রুত এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।’
ওসমানীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিসহ কেউ কখনও আমায় অবগত করেননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, ‘সম্প্রতি আমি ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। জনগণের সেবক হিসেবে এলাকাবাসীর অসুবিধাকে প্রাধান্য দিয়ে সেতুর সংযোগ স্থাপনের জন্য নতুন পরিকল্পনা হাতে