বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন শাবির ৯৫ শিক্ষার্থী
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:১৭:৪৪,অপরাহ্ন ১৩ জানুয়ারি ২০২১
সুরমা নিউজ:
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা সহযোগিতা প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’ পাচ্ছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ শিক্ষার্থী।
সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব খান মো. রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে জানা যায়, ভৌতবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞান, খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান- এই তিন ক্যাটাগরিতে ফেলোশিপ পাচ্ছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩ হাজার ২৪৯ জন শিক্ষার্থী।
এর মধ্যে শাবি থেকে ভৌতবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ৩৬ জন, জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ৩৬ জন, খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ২২ শিক্ষার্থীসহ মোট ৯৫ শিক্ষার্থী ফেলোশিপের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
ভৌত বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে রসায়ন বিভাগ থেকে পাচ্ছেন- হোমায়রা বেগম, মিজানুর রহমান, রায়হানুর ইসলাম, মো. ফাহামিদুল ইসলাম, বিউটি দেব, মোছা. শারমিন আক্তার ইভা, গৌতম দেবনাথ, সামিয়া ইসলাম, অনিম দত্ত, জাহিদুল হক, সোহানা ইসলাম ডানা, মহিবুল আহসান, মো. রাকিবুল হাসান রায়হান, কাবেরী রাণী সরকার, সানজিদা হোসেন ও সুপ্রিয় শর্মা।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাচ্ছেন- বিজরী তালুকদার, মো. গোলাম মুনতাসির আলম, মাহি আহমেদ, সোহেল খান, সামিউল হোসেন সজল, অনিক আচার্য্য, পার্থ প্রতীম নাথ, সুহৃদ সাহা প্রান্ত ও মাসুদা রহমান শিপ্রা।
জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগ থেকে পাচ্ছেন- তানিয়া সুলতানা, প্রিয়াঙ্কা ঘোষ, মনিসা তাসনিম, অর্ণব মজুমদার, মো. সানোয়ার হোসেন ও মো. নজরুল ইসলাম।
পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে পাচ্ছেন- রুহুল আমিন ও মো. সাব্বির হোসেন।
এছাড়াও ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগ থেকে নৌশিন রিফাত, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগ থেকে মো. রোকনুজ্জামান রানা ও ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগ থেকে মো. বেলাল মনোনীত হয়েছেন।
অন্যদিকে জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ থেকে পাচ্ছেন- সানজিদা আক্তার, পাপিয়া রহমান, ফিরোজ মাহমুদ, রঞ্জন চন্দ্র পাল, মো. নেওয়াজ শরীফ, হুমাইরা রশিদ তুবা, জিতু বর্মণ, মিনা সামিউর রহমান, মো. জাহিদ হাসান, পাপন চন্দ্র পাল, মো. আহসান হাবীব, আরিফুর রহমান, নিশাত তামান্না, শামীমা খানম, জান্নাতুল মাহমুদা ও মো. জাকারিয়া।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ থেকে পাচ্ছেন- আনিকা তাসনিম চৌধুরী, মো. তৌফিকুল ইসলাম, আফরোজা আক্তার স্বর্ণা, সানজানা ফাতেমা চৌধুরী, তাসনিমা আলম এশা, নাফিসা নুসরাত চৌধুরী, শ্রাবণী আক্তার ইভা, মো. তাহসিন খান, দিদারুল হায়দার সানী, নাবিল দেবনাখ, মো. ইবরাহীম, সালমান আহমেদ, রাহাতুল ইসলাম, আরাফ মাহমুদ, মুমতাহিন আহমেদ, সাহারা খাতুন, মো. মশিউর রহমান ও সৃজন ঘোষ।
এছাড়াও ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগ থেকে তাহাসিনা চৌধুরী ও মো. মাহবুব হাসান এই ফেলোশিপের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগ থেকে পাচ্ছেন- অঙ্গনা কুরি, ফাহমিদা নিজাম, সুলতান মাহমুদ, এইচএএম ফাহিম, দিপালী রাণী দাস, আয়েশা, আরিফুল খান, সাদিয়া হোসেন ইরা, মো. হাইয়ুল মুমতাহিন, সুমিত চৌধুরী, উম্মে হানি হক, মেহেদী হাসান লিমন, মো. হালিমুর রশিদ, তাসনিমা মুকিত, মোহাম্মদ রমজান আলী, সোহাগ আহম্মেদ, রণি সরকার ও মো. শাহরিয়ার আলম।
ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগ থেকে পাচ্ছেন- কেয়া রানী রায় ও শুভ্র তালুকদার।
এছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ থেকে মো. কামরুল ইসলাম ও বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ থেকে মো. সিফাতুল ইসলাম মনোনীত হয়েছেন। নবায়নকৃতদের মধ্যে শুধুমাত্র একই ক্যাটাগরিতে থেকে রয়েছেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বকুল কুমার চক্রবর্তী।
ফেলোশিপ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রত্যেক এমএস শিক্ষার্থী ৫৪ হাজার টাকা, এমফিল গবেষক ৬৮ হাজার ৪০০ টাকা এবং পিএইচডি গবেষক ৩ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭-১৯৭৮ অর্থবছর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ও গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের এই অনুদান দেয়া হয়।