বালাগঞ্জে জলাবদ্ধ থাকা রাস্তার ঢালাই কাজ শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ অক্টোবর ২০২০, ৯:১৪ অপরাহ্ণ
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:
বালাগঞ্জ বাজারস্থ পুরাতন থানার সম্মুখের পুবালি ব্যংকের (মদন মোহন জীউ আশ্রমের রাস্তা) হইতে জালাল বস্ত্রবিতান পর্যন্ত প্রায় ৮ ইঞ্চির উচ্চতায় ৩শত মিটার জলাবদ্ধ সেই রাস্তায় অবশেষে আরসিসি ঢালাই কাজ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সকালে এই ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়। বিগত প্রায় ৪/৫ বছর ধরে বাজারের রাস্তার এই অংশ সংস্কার না হওয়া মানুষের ভোগান্তির অন্ত ছিল না। অল্প বৃষ্টিতে হাটু সমান কাদাজল ও নর্দমার পানিতে সয়লাব হয়ে যেতো। ফলে নর্দমা ও কাদাজল মাড়িয়ে কাপড়চোপড় ভিজিয়ে মানুষের চলাচলের প্রচন্ড প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতো। এনিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বাজারে আসা সাধারণ মানুষ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।
বালাগঞ্জ বাজারের প্রধান এই রাস্তার চতুর্পাশে রয়েছে, মদনমোহন বানিজ্যিক কমপ্লেক্স, পূবালী ব্যাংকের, ডাকঘর, সাবরেজিস্টার অফিস, বালাগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, কাজী অফিস, মোদন মোহন জীউ আশ্রম সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বালাগঞ্জ বাজারস্থ রাস্তার ওই অংশ সংষ্কারের জন্য ২০১৫-১৬ সালের অর্থ বছরের প্রজেক্ট এর অধিনে ইদ্রিস মিঠু জেভি আর টি আইপি-২ (জরুরি মেরামত) বাস্তবায়ন করছে। এর আগে এই রাস্তা সংষ্কারের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। প্রকল্প প্রস্তাবটি অনুমোদনের পর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর অফিসের তত্তাবধানে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ শুরু করা হয়।
এদিকে দীর্ঘদিন পর রাস্তার ওই অংশে সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় বাজারের ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের শ্রেণি পেশার মানুষের স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বালাগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. জুনেদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক কাওছার আহমদ কওছর বলেন, এই স্থানের জলাবদ্ধতার জন্য বাজারের ব্যবসায়ী সহ বাজারে আসা বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাতেন। রাস্তাটির উল্লিখিত স্থানে দ্রুত সংস্কারের জন্য আমরা বণিক সমিতির পক্ষ থেকে ও সর্বস্তরের জনগণ দাবি জানিয়ে আসছিলাম। রাস্তাটির সংষ্কার কাজ শুরু হওয়ায় আমার আনন্দিত।
উল্লেখ যে, ব্যাপারে গত ১০ আগষ্ট ‘সুরমা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম’ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে উল্লিখিত রাস্তার জনদুর্ভোগের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরের দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তকুর রহমান মফুর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাংশ কুমার সিংহ, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী এস আর এম জি কিবরিয়া, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রজত চন্দ্র দাস ভুলনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেন। দুদিন পরই সংষ্কারের জন্য সীমানা নির্ধারনের কাজ শুরু হয়।