শিক্ষকের পিটুনিতে ক্ষতবিক্ষত শিক্ষার্থীর শরীর
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ অক্টোবর ২০২০, ১০:০৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগে এক শিক্ষককে পুলিশ আটক করেছে। ওই শিক্ষকের নাম মনির হোসেন। তিনি রতনশ্রী হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। শুক্রবার দুপুরে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়।
স্থানীয় লোকজন ও আহত শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান, তাহিরপুর উপজেলা সদরের পাশের ভাটি তাহিরপুরের খায়রুল ইসলামের ছেলে শাহরিয়ার হোসেন (১৬) রতনশ্রী হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। সে মাদ্রাসায় থেকেই পড়াশুনা করে। মঙ্গলবার শাহরিয়ার শিক্ষকের সঙ্গে বেয়াদবি করায় শিক্ষক তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছেন। তার হাত, পা ও পিঠের বিভিন্ন অংশে জখমের দাগ রয়েছে। শিক্ষকের মার খেয়ে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায় ওই শিক্ষার্থী। পরে বাড়িতে গেলে অভিভাবকরাও মারতে পারেন এই ভয়ে বাড়িতেও যায়নি সে। পরে অভিভাবকরা খোঁজাখুঁজি করে শুক্রবার সকালে তাহিরপুর উপজেলা সদরে পায় তাকে। পরে ছেলেটি অভিভাবকদের ঘটনা জানায়। এসময় ছেলের শরীরে আঘাতের চিহৃ দেখে তার বাবা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে জানান।
খায়রুল ইসলাম বলেন, ছেলের শরীরের আঘাত দেখে খুবই কষ্ট পেয়েছি। এজন্য পুলিশকে জানিয়েছি। এমন শিক্ষকের বিচার হওয়া জরুরি। তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানালেন, বিষয়টি জানার পরই শিক্ষক মনির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় আনা হয়েছে। এখনো কেউ এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেননি।