রবিউলের শাস্তি চায় তাঁর পরিবার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৭:৪৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
তরুণীকে তুলে নিয়ে সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া রবিউল ইসলামের (২৫) বাবা দেলোয়ার হোসেন (৬৫)। তিনি চান, তার ছেলে দোষ করে থাকলে শাস্তি দেওয়া হোক। তিনি কোনো অন্যায়ের সঙ্গে নেই। তবে তিনি এখনো মনে করেন, তার ছেলে এমন কাজ করেননি।
রবিউল ইসলামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বড় নদগীপুর গ্রামে। তিনি মামলার ৫ নম্বর আসামি। গত রোববার রাতে হবিগঞ্জের নবীনগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারের নিজআগনা গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি এমসি কলেজে পড়াশোনা করেন এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
আজ সোমবার দুপুরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রবিউল ইসলামের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানান, তার পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে। রবিউল পড়াশোনার জন্য ২০১৪ সালে সিলেটে যান। সিলেট নগরে প্রথমে তার নানার বাড়িতে থাকতেন। পরে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ওঠেন।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রবিউল মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসত। বিশেষ করে বৈশাখ মাসে বোরো ধান কাটার সময়। তার চলাফেরায় পরিবারের লোকজন কখনো চিন্তাও করতে পারেনি সে এমন কাজ করতে পারে। আমি বৃদ্ধ মানুষ। আমার এক কথা, আমি কোনো অন্যায়ের সাথে নেই। সে (রবিউল) দোষ করলে সাজা হোক। আর যদি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়, তাহলে আল্লাহ আছেন। বরিউলের মা ও বোনদেরও একই কথা। দোষ করলে তার যেন শাস্তি হয়।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার মামলা এবং আরেকটি ছিনতাই মামলারও আসামি রবিউল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে সিলেট থেকে পাঠানো দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তবে এসব মামলার বিষয়ে বিস্তারিত তিনি জানাতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া এক তরুণীকে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এই মামলার অন্যতম আসামি রবিউল ইসলাম। পুলিশ মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।