আমি নির্দোষ : ধর্ষণে জড়িত রাজন, আইন উদ্দিন ও তারেক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২:১৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান। ধর্ষণে অন্য তিনজন জড়িত বলেও আদালতে দাবি করেছেন তিনি।
সোমবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও আরেক আসামি অর্জুন লস্করকে আদালতে হাজির করা হয়। সিলেট মহানগর হাকিম ২য় আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক সাইফুর রহমান তাদের ৫ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানিকালে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী অংশ নেননি। তবে বেশকয়েকজন আইনজীবী রাষ্ট্রপক্ষের সহযোগিতা করে শুনানিতে অংশ নেন।
শুনানিতে অংশ নেওয়া একাধিক আইনজীবী জানান, আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী তা থাকায় আদালত আসামিদের কাছে তাদের কোনো বক্তব্য আছে কী না জানতে চান। এসময় সাইফুর রহমান নিজেকে নির্দোষ হিসেবে দাবি করেন। তিনি আদালতকে বলেন, রাজন, আইন উদ্দিন ও তারেক এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি জড়িত ছিলাম না।
শুক্রবার এমসি কলেজের ছাত্রবাসে ঘটা ধর্ষণের ঘটনায় পরদিন শনিবার শাহপরান থানায় মামলা করেন ধর্ষিতার স্বামী। মামলায় তারেকুল ইসলাম তারেককে আসামি করা হলেও রাজন ও আইন উদ্দিনের নাম নেই। তবে এজাহারে ধর্ষতার স্বামী অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করেছেন। যাদের পরিচয় তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি বলে জানিয়েছেন।
আজ শুনানি শেষে আদালত সাইফুর রহমান ও অর্জুন ঘোষের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী।
রিমান্ড শুনানিকালে এপিপি খোকন কুমার দত্তের সাথে রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তা করেন এডভোকেট মুজিবুর রহমান, এডভোকেট সাজ্জাদ আহমদ, এডভোকেট প্রবাল চৌধুরী পূজন, এডভোকেট দেবব্রত চৌধুরী লিটন প্রমুখ।
এরআগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সাইফুর ও অর্জুনকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।
এ ঘটনায় তরুণীর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)।