মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের নির্বাচন: দুই প্রার্থীর কে কতটা সম্পদের মালিক?
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৮:১৮ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যে দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা নেমেছেন তাদের হলফনামা থেকে জানা গেছে অজানা তথ্য। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় আওয়ামী লীগের সমর্থীত প্রার্থী মিছবাহুর রহমান তার শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন এইচএসসি। তবে তিনি সার্টিফিকেট হারিয়ে ফেলায় সনদের পরিবর্তে সার্টিফিকেট হারানোর জিডির কপি দিয়েছেন। অপর প্রার্থী মো: আব্দুল রহিম শহিদ। তার শিক্ষাগত যোগ্যতার কলামে উল্লেখ করেছেন এম.কম।
মিছবাহুর রহমানের বিরুদ্ধে বন আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল মাজ্রিস্ট্রেটের কাছে করাত কল বিধিমালা ২০১২ সালের ১২ ধারায় একটি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অতীতে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা ছিল না। তিনি ইট প্রস্তুত ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স যমুনা ব্রিকস ও মিছবাহুর রহমান নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক। প্রতি বছর কৃষিখাত থেকে ২২ হাজার ৭৮০ টাকা ও ব্যবসা থেকে ৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৫৪ টাকা আয় করেন। তবে তার উপর নির্ভরশীল কোন ব্যাক্তির কোন আয় হলফনামায় দেখাননি।
এম এ রহিম বর্তমানে কোন ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত নয়। তবে অতীতে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়েছিলো যেগুলো ইতিমধ্যে আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে। তিনি প্রপার্টি ডেভলাপার ব্যবসায় যুক্ত। বাড়ি, এপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া বাবদ তার বাৎসরিক আয় ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮০ টাকা ও ব্যাংক মুনাফা থেকে আয় করেন ৮ হাজার ৮২ টাকা।
মিছবাহুর রহমানের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ১০ হাজার টাকা, ব্যাংকে তার নামে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, স্ত্রীর নামে ১০ লক্ষ টাকা জমা আছে। আর তার নিজের হোন্ডা সি.আর.ডি মডেলের প্রায় ৭ লক্ষ টাকা দামের একটি গাড়ি রয়েছে। তার স্ত্রীর ২০ ভরি স্বর্ণ আর ১ লক্ষ টাকার ইলেট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে। তার দশ হাজার টাকার আসবাবপত্র ও তার স্ত্রীর ২লক্ষ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।
এম এ রহিম এর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৮ লক্ষ টাকা, ২১০ হাজার ইউকে পাউন্ড, ব্যাংকে ১ কোটি ৯৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯৫০ টাকা, এমআর এগ্রোতে ৬৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার ও লন্ডন বাংলা কোং এ ৫ লক্ষ টাকার শেয়ার রয়েছে। একটি প্রাডো জিপ ও নিজের ৩০ তোলা স্বর্ণ রয়েছে। ৫লক্ষ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী, দশ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র ও অন্যান্য আরো ৫ লক্ষ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে মিছবাহুর রহমান পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ২.৩৭২৯৬ একর কৃষি জমি, ১.৩২১০২ একর অকৃষি জমি, দ্বিতল আবাসিক ভবন ও ২২.৬৮ ডেসিমেলের বাড়ির মালিক। দায় দেনার মধ্যে আত্মীয় স্বজন থেকে নগদে ৯০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন।
এম.এ রহিমের স্থাবর সম্পাদের মধ্যে নিজের নামে ২১.০৭০ একর, স্ত্রীর নামে ১.৯৩ একর, নির্ভরশীলদের নামে ৬.০৫ একর, যৌথ মালিকানায় ১০একর কৃষি জমি রয়েছে। অকৃষি জমি নিজের নামে ০.৬৮৪৬ একর ও যৌথ মালিকানার ৩.০০ একর রয়েছে। এম.আর টাওয়ার-১ ও এম.আর.টাওয়ার-২ নামের দুইটি দালার নিজের নামে রয়েছে। এছাড়া নিজের একটি এপার্টমেন্ট ও যৌথ মালিকানার ৪টি দালান আছে। দায় দেনার মধ্যে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড মৌলভীবাজার শাখায় ৫ কোটি ৫৯ লক্ষ ৯ হাজার ৫০১ টাকা দেনা আছে।
উল্লেখ্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান গত ১৮ আগষ্ট মৃত্যুবরণ করলে পদটি শুন্য হয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন আগামী ২০ অক্টোবর উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।